ছবি: সংগৃহীত।
বিভিন্ন জেলায় ভোট-পরবর্তী বিক্ষিপ্ত হিংসার মধ্যেই রাজ্য ছাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা একার হাতেই সামলাতে হবে রাজ্য সরকারকে। প্রশাসনের খবর, হাঙ্গামা যাতে না-বাড়ে তাই রাজনৈতিক রং না-দেখেই গোলমালকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত এবং কড়া ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে। নির্বাচন কমিশন ভোট চলার মাঝেই স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দিয়ে তাঁর দায়িত্ব মলয়বাবুকে সঁপেছিল।
ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ভাটপাড়া-সহ একাধিক জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। কিন্তু এ বার তাঁরা ধাপে ধাপে ফিরবেন। তাই গোলমাল ঠেকানোর পুরো ভার রাজ্য পুলিশের কাঁধে আসছে।
পুলিশের এক শীর্ষকর্তার কথায়, ‘‘রাজ্য পুলিশই তো রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে থাকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মূলত ভোটকেন্দ্রিক কাজকর্মের জন্য ছিল।
এ বার তারা ফিরে যাবে, এটাই তো স্বাভাবিক। তাই রাজ্য পুলিশকে ভোট পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রকৃত দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের ডিজি নিজে ভাটপাড়ার একাধিক এলাকায় ঘুরেছেন।
ভোটের সময়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্য থেকে সম্প্রতি ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্যে থাকা ৩১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ফিরে যাচ্ছে শীঘ্রই। যার মধ্যে রয়েছে ৮২ কোম্পানি সিআরপি, ১১৪ কোম্পানি বিএসএফ, ৩৯ কোম্পানি সিআইএসএফ, ২৯ কোম্পানি ইন্দো-তিব্বত পুলিশ, ৩১ কোম্পানি এসএসবি এবং ১৮ কোম্পানি আরপিএফ।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ভোটের সময় জঙ্গলমহল থেকে কমবেশি ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যকে কমিশন আশ্বাস দিয়েছিল, ওই পরিমাণ বাহিনী ফের জঙ্গলমহলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy