Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

বিস্ফোরণের দায় নিয়ে পাহাড়ে পোস্টার গোর্খা লিবারেশন আর্মির নামে

২০০১ সালে পাহাড়ে প্রথম সশস্ত্র লড়াইয়ের ডাক দেয় ‘গোর্খাল্যান্ড লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ (জিএলও)। মাথায় ছিলেন কট্টরপন্থী জিএনএলএফ নেতা ছত্রে সুব্বা। পরে সুবাস ঘিসিঙ্গের উপরে হামলার ঘটনায় দশ বছর জেল খেটে এখন অসুস্থ ও ঘরবন্দি ছত্রে।

প্রতিভা গিরি ও কৌশিক চৌধুরী
শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:১০
Share: Save:

বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউএপিএ-তে মামলা হয়েছে বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে। এ বার সেই সব বিস্ফোরণের দায় নিয়ে পাহাড়ে পোস্টার পড়ল গোর্খা লিবারেশন আর্মির (জিএলএ) নামে। সশস্ত্র লড়াইয়ে বিশ্বাসী জিএলএ-র এই পোস্টার পাহাড়ের ভুক্তভোগীদের মনে করিয়ে দিল ২০০১ সালের আতঙ্ক। ফলে তিন মাস ধরে চলা বন্‌ধের মধ্যে নতুন করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হল এ দিন।

বৃহস্পতিবার সকালে মিরিকে প্রথম পোস্টারটি চোখে পড়ে এলাকাবাসীর। পরের দিকে খবর মেলে, একই পোস্টার পড়েছে পাহাড়ের আরও একাধিক এলাকায়। পাহাড়বাসীদের একাংশ মনে করছেন, আলোচনার পরিবেশ খারাপ করতেই এই সব শুরু হয়েছে। বিনয় তামাঙ্গদের হাতে যাতে রাশ পুরোপুরি না যেতে পারে, তাই কট্টরপন্থীরা পোস্টার সেঁটে দিয়েছে কি না, রয়েছে সেই প্রশ্নও। নেপালিতে লেখা ওই পোস্টারগুলিতে জানানো হয়েছে— জিএলএ কোনও দল বা পার্টির অংশ নয়, রাষ্ট্রবিরোধীও নয়। তারা
গোর্খাল্যান্ডের সিপাহি।

২০০১ সালে পাহাড়ে প্রথম সশস্ত্র লড়াইয়ের ডাক দেয় ‘গোর্খাল্যান্ড লিবারেশন অর্গানাইজেশন’ (জিএলও)। মাথায় ছিলেন কট্টরপন্থী জিএনএলএফ নেতা ছত্রে সুব্বা। পরে সুবাস ঘিসিঙ্গের উপরে হামলার ঘটনায় দশ বছর জেল খেটে এখন অসুস্থ ও ঘরবন্দি ছত্রে। একসময়ে অজয় দহেলের নামও জড়ায় জিএলও-র সঙ্গে। বছর দশেক আগে তিনিই জিএলও-র নাম বদলে করেন জিএলএ। কিন্তু, মোর্চার উত্থানের পরে অজয় সংগঠন ছেড়ে বৈষয়িক কাজকর্মে মন দেন। এখন তাঁর খোঁজও শুরু হয়েছে।

স্বীকার: মিরিকে বিস্ফোরণের দায় মেনে মিরিকে জিএলএ-র পোস্টার। নিজস্ব চিত্র

গোয়েন্দাদের একটি অংশের সন্দেহ, পুরো ঘটনার পিছনে গুরুঙ্গের মাথাও থাকতে পারে। এমনিতেই একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত পাহাড়ের মানুষ। এর পরে গুরুঙ্গের সঙ্গীরা সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন:এখন দিল্লি যেতে চান না গুরুঙ্গ

যদিও গোপন ঘাঁটি থেকে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করে গুরুঙ্গ দাবি করেছেন, এই পোস্টার কারা দিল, তারও এনআইএ তদন্ত হোক। মোর্চা সভাপতি এখন সিকিমে লুকিয়ে রয়েছেন বলে যে খবর ছড়িয়েছে, এর মধ্যে তা অস্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছেন সিকিম পুলিশের এডিজি সুধাকর রাও। কিন্তু দীর্ঘদিন লুকিয়ে থাকার ফলে গুরুঙ্গের পায়ের তলা থেকে মাটি যে সরতে পারে, তা মেনে নিচ্ছেন মোর্চার কেউ কেউ।

সেই জমি দখলে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বিনয় তামাঙ্গ। সফল হবেন কিনা, সময়ই বলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE