প্রতীকী ছবি।
সোনা পাচারকারীদের সন্ধানে নেমে চোখ কপালে গোয়েন্দাদের। সোনা পাচারের সঙ্গে খোদ সেনাবাহিনী ও পুলিশের যোগসাজশ কতটা গভীর, তারই খোঁজ শুরু করেছেন তাঁরা।
আলিপুরদুয়ারের হাসিমারাতে ১০ সেপ্টেম্বর একটি গাড়ি থেকে ২৫ কেজি বেআইনি সোনা উদ্ধার হয় বলে সূত্রের খবর। এক কেজি করে ওজনের ২৫টি সোনার বার ছিল গাড়িতে। অভিযোগ, জয়গাঁর এসডিপিও অনিরুদ্ধ ঠাকুর, হাসিমারা ফাঁড়ির ওসি-র দায়িত্বে থাকা কমলেন্দ্র নারায়ণ, সাব ইন্সপেক্টর সত্যেন্দ্রনাথ রায়, সেনা বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের লেফটেন্যান্ট কর্নেল পবন ব্রহ্ম ও দশরথ সিংহ ১৫টি সোনার বার নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন৷ তার পরে ওই গাড়িটি যাদের বলে দাবি, তাদের বাকি সোনা-সহ ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাটি জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা জেনে ফেলতেই ভিতরে ভিতরে শুরু হয় তদন্ত।
সূত্রের খবর, পুলিশের তরফে বিষয়টি নিয়ে সেনা বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়৷ তদন্তে ঘটনা যে সত্য, তা বেরিয়ে আসতেই শুক্রবার রাতে এসডিপিও-সহ পাঁচ জনকে হাসিমারা ফাঁড়িতে ডেকে জেরা শুরু হয়৷ ওই রাতেই তাঁদের থেকে উদ্ধার হয় ১৫টি সোনার বার৷ তার পরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়৷
সিআইডির এক কর্তা বলেন, যাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের খুঁজে বার করাটাই এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গাড়িটি আসছিল ভুটান থেকে। সোনা পাচার হচ্ছিল দিল্লিতে৷ এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, গাড়িটি কোন রাস্তা দিয়ে
কোন দিকে গেল, তা জানতে এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, কত দিন ধরে সোনা পাচারের এই ‘রুট’ ব্যবহার করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির ভূমিকা কী ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy