প্রতীকী ছবি।
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে প্রথম মধু প্রক্রিয়াকরণ ও বিক্রয় কেন্দ্রটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যের উদ্যানপালন দফতর ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এই প্রকল্পের রূপরেখা তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। দেগঙ্গায় রাজ্যের প্রস্তাবিত কৃষক-বাজারের সঙ্গেই আলাদা করে
এই ‘হানি হাব’ বা মধু পরীক্ষা এবং বিক্রয় কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হবে। প্রকল্পের পরিকাঠামো-সহ প্রক্রিয়াকরণের প্রযুক্তির ব্যাপারে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যের উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই মৌমাছি পালকরা স্থায়ী একটি মধু বিক্রয়কেন্দ্র গড়ার দাবি জানিয়ে আসছিল। যে কারণেই উত্তর ২৪ পরগনায় দফতরের উদ্যোগে ওই প্রকল্পটি গড়ে তোলার ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে।’’ উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য্য জানাচ্ছেন, ওই জেলায় কয়েক হাজার মৌমাছি পালক রয়েছে। যারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে-ঘুরে ফুল থেকে কাঁচা মধু সংগ্রহ করে। কিন্তু সেই মধু প্রক্রিয়াকরণ করে সংগঠিত উদ্যোগে বিপণনের কোনও পরিকাঠামো এতদিন ছিল না। যে কারণে তারা এক ছাদের তলায় একটি বিপণন কেন্দ্র গড়ে তোলার আর্জি জানিয়ে আসছিল বলেই দেগঙ্গায় প্রকল্পটির কথা ভাবা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিক্রয় কেন্দ্রটি এমন ভাবে গড়ে তোলার রূপরেখা তৈরি হচ্ছে যাতে সেখানে মৌমাছি পালকদের মধু বিজ্ঞানসম্মত ভাবে মজুত করা থেকে তার মান পরীক্ষা, প্রক্রিয়াকরণ-সহ দেশ-বিদেশের ক্রেতাদের কাছে বিক্রি এবং ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা যায়। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে যা খরচ হবে তা উদ্যানপালন দফতর করবে বলে ঠিক হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মৌমাছি পালকদের নিয়ে সরকার একটি সমবায় গড়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে বিক্রয় কেন্দ্রটি পরিচালনার
ভার কাদের উপর থাকবে তা এখনও ঠিক হয়নি।
অন্তরাদেবীর দাবি, মূলত ভিন রাজ্যের ক্রেতা ও রফতানিকারকদের মর্জির উপরেই রাজ্যের মৌমাছি পালকদের নির্ভর করতে হয়। অনেক সময় মধুর সঠিক দামও তাঁরা পায় না। রাজ্য সরকারের ‘হানি-হাব’ বা মধু বিক্রয় কেন্দ্রটি গড়ে তোলার ভাবনা সেই সব সমস্যা দূর করার জন্যই বলে তিনি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy