শুক্রবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।—নিজস্ব চিত্র।
রাস্তায়, এমনকী থানা-ফাঁড়িতেও আক্রান্ত হয়ে চলেছে পুলিশ। কিন্তু রাজ্য পুলিশের আইজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা বলেছেন, ‘‘পুলিশের মনোবল এতটুকু তলানিতে ঠেকেনি। যেমন শক্ত ছিল, তেমনই আছে।’’ শুক্রবার কিন্তু সেই পুলিশের ভূমিকাকেই কটাক্ষ করে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘পুলিশ আক্রান্ত হলে প্রশাসনের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’
বাঁকুড়া সদর থানায় হামলা, সাঁতরাগাছি থানায় ঢুকে ভাঙচুর, বাগদায় চোলাই বিক্রেতাকে ধরতে গিয়ে পুলিশের মার খেয়ে ফিরে আসা— পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। আর রাস্তাঘাটে আইন ভঙ্গকারীদের শায়েস্তা করতে গিয়ে পুলিশের মার খাওয়া তো প্রায় রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে পুলিশের মনোবল যে তলানিতে ঠেকেছে, তা মানছেন প্রশাসনেরই একাংশ। কিন্তু মনোবল ফেরাতে যে পদক্ষেপ করা জরুরি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা না-মেলায় হতাশা বাড়ছে আইনরক্ষার ভারপ্রাপ্ত বাহিনীর নিচু তলায়। এই অবস্থায় ‘পাশে থাকা’র বার্তা দিতে বুধবার আইজি (আইনশৃঙ্খলা) মনোবল অটুট আছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের এ দিনের বক্তব্য প্রশাসনের কর্তাদের ভূমিকাকে ফের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন সরকারের সদর নবান্নেরই একাংশ।
এ দিন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘পুলিশের উপরে হামলার ঘটনা অনভিপ্রেত। প্রশাসনের উচিত কড়া পদক্ষেপ করা।’’ প্রশাসনের একাংশের মতে, পুলিশ আক্রান্ত হলেও সেই সব ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, ঘুরিয়ে সে-কথাই বলতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। তবে আইজি জানান, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরে অভিযুক্ত সাত জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই সাত জনই শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের সদস্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy