ছবি: সংগৃহীত।
সাগর মেলায় তীর্থযাত্রীরা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রিন করিডর তৈরি করে তাঁকে সাগর বা আশেপাশের হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। এ বারই প্রথম মেলায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স এবং হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা থাকছে। মেলা উপলক্ষে এলাকার হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোরও ভোল বদলানোর কাজ চলছে। মেলা প্রাঙ্গণে ৮৫টি অ্যাম্বুলেন্স থাকছে।
সোমবার আলিপুরে জেলাশাসক পি উলগানাথন ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা শেখ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে জানানো হয়েছে, মেলাকে ‘দুর্ঘটনা মুক্ত’ রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে তীর্থযাত্রীদের বাসে গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকবে। সাগরে কোনও বাসের গতি ৪০ কিলোমিটারের বেশি হলে বাসের স্টার্ট বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া, পুলিশের কাছে গতি মাপতে থাকবে ‘স্পিড লেজার গান।’ দুর্ঘটনা এড়াতে চালক-খালাসিদের বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করছে পরিবহণ দফতর। এ সবের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করেছে সরকার। জেলাশাসক বলেন, ‘‘এ বার মেলায় ৩০টি দফতর অর্থ বরাদ্দ করেছে। মেলায় বেশ কিছু প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’’
জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, তীর্থযাত্রীদের জন্য ‘অতিথি অ্যাপ’ চালু হচ্ছে। মেলার নানা তথ্য মিলবে সেখানে। তীর্থযাত্রীদের ঋতুকালীন সমস্যার কথা মাথায় রেখে এ বারই প্রথম স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন রাখা হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে ২৫টি ওয়াইফাই বুথ। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কোনও তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হলে সরকারি ভাবে বিমার ব্যবস্থাও থাকছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy