রাজ্য জুড়ে পুরভোটের ফল বেরোবে আজ, মঙ্গলবার। আর সোমবার তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দলে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কামারহাটি। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় চলল বোমা, গুলি। পরে বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ জানায়, বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ছ’নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী কালামুদ্দিন আনসারির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তিন যুবক সকালে মাখনবাগানের এক বাসিন্দার বাড়িতে গিয়ে অনুমতি ছাড়াই গাছে উঠে জাম পাড়ছিলেন বলে অভিযোগ। দু’নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের ভাই নিরজ খান তার প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, ওই যুবকেরা নিরজকে মারধর করে। প্রহৃতকে কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুরে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বেলঘরিয়া থানায় সদলবল বিক্ষোভ দেখান আফসানা।
বিকেলে দুই গোষ্ঠীতেফের বচসা বাধে। বোমাবাজি হয় দফায় দফায়। চলে গুলিও। অভিযোগ, আতঙ্ক তৈরি করতে কালামুদ্দিনের সঙ্গীরাই বোমা ও গুলি ছোড়ে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে কামারহাটি ফাঁড়ি ঘেরাও করেন আফসানা এবং তাঁর অনুগামীরা। বিশাল বাহিনী নিয়ে হাজির হন বেলঘরিয়ার এডিসিপি দেবাশিস নন্দী। তিনি আফসানা ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এর মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের উপরে লাঠি চালায় পুলিশ। পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে কালামুদ্দিন-সহ দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়।
২০১০-এ সিপিএমের হয়ে লড়ে কাউন্সিলর হন আফসানা। ২০১৪-য় তিনি তৃণমূলে যোগ দিলে ১৮ আসন নিয়ে কামারহাটি পুরসভায় বোর্ড গড়ে তৃণমূল। কালামু্দ্দিন প্রথমে কংগ্রেস, পরে সিপিএমে যোগ দেন। হন কাউন্সিলরও। ২০১০-এ তিনিও তৃণমূলে যোগ দিয়ে কাউন্সিলর হন। স্থানীয় সূত্রের খবর, আফসানা ও কালামুদ্দিনের কাজিয়া দীর্ঘদিনের। কামারহাটির বিদায়ী তৃণমূল পুর-প্রধান গোপাল সাহা এ দিনের ঘটনাকে গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ‘‘এটা নিজেদের পাড়ার ঝামেলা। তৃণমূলের বদনাম করার জন্যই গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের কথা রটানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy