গোলমালের দীর্ঘ প্রহর পেরিয়ে ভ্রমণার্থীদের আবার হাতছানি দিচ্ছে দার্জিলিং। আর বাংলার সেই পাহাড়-পর্যটনের মুখ এ বার জিটিএ।
নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুক্রবার থেকে তিন দিনের পর্যটন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ১২০টি স্টলের মধ্যে একটি গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ-র। সেই স্টল থেকেই জিটিএ-র সদস্য ও কর্মীরা এ রাজ্যের পর্যটকদের কাছে বার্তা দিচ্ছেন, ‘শান্ত দার্জিলিঙে আপনাকে স্বাগত। নির্ভাবনায় পাহাড়ে আসতে পারেন পর্যটকেরা।’
পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে গত বছরের গোড়াতেই অশান্ত হয়ে ওঠে পাহাড়। দফায় দফায় বন্ধ, ভাঙচুর, প্রাণহানি, অগ্নিকাণ্ডে এমনই আতঙ্ক ছড়ায় যে, ভ্রমণপিপাসু বাঙালি দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। পাহাড়ের রানিকে ছেড়ে অনেকেই পাড়ি জমাতে থাকেন হিমালয়ের অন্য প্রান্তে কিংবা দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের পাহাড়ে। বাংলার সেই দার্জিলিং পাহাড় এখন পুরোপুরি শান্ত বলেই দাবি করলেন জিটিএ-র পর্যটন দফতরের কর্মী ভীম। বললেন, ‘‘মার্চ থেকে এ-পর্যন্ত মাত্র তিন মাসেই তো আট লক্ষ পর্যটক দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং সফর করেছেন। এর পরেও কি বলা যায় পাহাড় অশান্ত!’’
পৃথক গোর্খাল্যান্ড বা রাজনীতির বিষয়ে কথা বলতে মোটেই আগ্রহী নন জিটিএ-র ওই কর্মী। তাঁদের লক্ষ্য আরও, আরও পর্যটক টানা। ভীম জানান, আগে পর্যটন মেলায় স্টল দেওয়া হত দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের নামে। এ বার তাঁরা এখানে এসেছেন জিটিএ-র ব্যানারে। বিশেষ করে পুজোর সময় পাহাড়ে ব্যবসা বাড়ানোই তাঁদের লক্ষ্য। সেই জন্যই এই পর্যটন মেলায় আসা। মেলার আয়োজক সংস্থার তরফে সুব্রত ভৌমিক বলেন, ‘‘এ বারের পর্যটন মেলায় জিটিএ-র স্টলটি নতুন। ভ্রমণপিপাসুরা এখানে অনেক কিছু জানতে পারবেন।’’
জিটিএ-র পর্যটন বিভাগের সদস্য জিতু গিরি জানান, চেনাজানা, নামীদামি হোটেল ছাড়াও জিটিএ এলাকার মধ্যে এখন অনেক হোম স্টে-র সুযোগ তৈরি হয়েছে। কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ে বেশ কয়েকটি ছোট গ্রামে হোম স্টে-তে থাকার মজাই আলাদা। কলকাতার মেলায় জিটিএ-র ওই স্টলে ট্রেকিংয়ের সর়ঞ্জাম থেকে পরামর্শ, সবই পাওয়া যাচ্ছে। আয়োজকেরা জানান, মেলা শেষের আগেই ঘুরে যাবেন জিটিএ-র চেয়ারপার্সন বিনয় তামাং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy