ফাইল চিত্র।
দীর্ঘদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ স্লোগান দিয়ে দুর্ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রচারও করা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। কিন্তু মোটরযান আইনের সাহায্য নিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন বা বেপরোয়া গাড়ির চালকদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে আদালতে যে-নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তথ্যপ্রমাণ পেশ করার কথা, অনেক ক্ষেত্রেই তা করা হচ্ছে না।
আর তথ্যপ্রমাণ পেশে পদ্ধতিগত ভুলত্রুটির পরিণামে অনেক ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত চালক বেমালুম অব্যাহতি পেয়ে যাচ্ছেন বলে আদালত সূত্রের খবর। যথাযথ পদ্ধতিতে তথ্যপ্রমাণ পেশ না-হওয়ায় অভিযুক্ত এক গাড়িচালককে সম্প্রতি নির্দোষ বলে মুক্তি দিয়েছেন তমলুক আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট গৌতমকুমার নাগ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের অভিযোগ ছিল, গত বছরের ৫ মে হলদিয়া মোড়ে নির্দিষ্ট গতি ছাপিয়ে ভীষণ জোরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন লালমোহন মান্না নামে এক ব্যক্তি। গতি মাপার ক্যামেরা-যন্ত্রে তা ধরা পড়ে। লালমোহনের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে মোটর ভেহিক্ল অ্যাক্ট বা মোটরযান আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-বান্ধব নিযুক্ত করেন আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে।
বিভাসবাবু আদালতে জানান, হলদিয়া মোড়ে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো বারণ। কিন্তু রাস্তার দু’দিকে যে-ভাবে ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে সেই বিষয়টি জানানোর কথা, সেটা জানানোর ব্যবস্থা ছিল না। কোথায় কত গতিতে গাড়ি চালাতে হবে, তা পর্যাপ্ত সংখ্যক ডিসপ্লে বোর্ড দিয়ে না-জানানোয় চালকদের পক্ষে আগাম জানা সম্ভব নয়। আদালত-বান্ধব আদালতে আরও জানান, বেশি গতিতে গাড়ি চালানোর ছবি ক্যামেরাবন্দি করার সময় ছবির ফ্রেমে নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালানোর ডিসপ্লে বোর্ডটিও থাকার কথা। এ ক্ষেত্রে তা ছিল না। তা ছাড়া আইনে বলা হয়েছে, যিনি গাড়ির গতি মাপছেন, তাঁর বয়ানও নথিভুক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy