অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশ্নপত্র ফাঁস-কাণ্ডে সাসপেন্ড করা হল ময়নাগুড়ির সুভাষনগর উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদয়াল রায়কে। বৃহস্পতিবার ওই ঘটনায় আরও চার জনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এঁরা হলেন স্কুল পরিদর্শক (এসআই) বিশ্বনাথ ভৌমিক, ওই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়, ইতিহাস শিক্ষক সম্রাট বিশ্বাস এবং পর্ষদের কর্মী তথা অতিরিক্ত ভেনু ইনচার্জ মন্টু রায়। বিশ্বনাথকে শো-কজ করেছে শিক্ষা দফতর। বিশ্বজিৎ ও মন্টুর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত হচ্ছে। সম্রাটকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
গত ১৯ মার্চ মাধ্যমিকে অঙ্ক পরীক্ষার দিন নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রশ্নপত্র খোলার অভিযোগ উঠেছিল। এ দিন কলকাতায় পর্ষদ সভাপতি শাস্তির কথা ঘোষণা করেন। ঘটনার অন্যতম অভিযোগকারী স্কুলশিক্ষক বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে স্ট্রংরুমে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করার অভিযোগে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তদন্ত হবে। প্রমাণ ছাড়াই বিভিন্ন তথ্য পর্ষদ, সংবাদমাধ্যমকে দেওয়ার অভিযোগে স্কুল পরিদর্শক বিশ্বনাথ ভৌমিককে শো-কজ করেছে দফতর।
পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য, সময়ের আগেই প্রশ্নপত্র খোলা হয়েছিল। কিন্তু তার জেরে কেউ সুবিধা পায়নি। এ দিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, সময়ের আগেই প্রশ্নপত্র খোলার প্রমাণ মিলেছে। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল।
এ দিন হরিদয়াল বলেন, ‘‘পর্ষদের সামনে স্বীকারই করেছি, অঙ্ক পরীক্ষার দিন সাড়ে ১০টায় প্রশ্নপত্র খুলেছিলাম। কারণ, ইংরেজি পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ বিশ্বনাথ ভৌমিক নির্দেশ দিয়েছিলেন ১১টার আগে প্যাকেট খোলার। সেটা অপরাধ না হলে অঙ্ক পরীক্ষার দিন অপরাধ হবে কেন?’’ বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘শো-কজের জবাব পর্ষদকে দেব।’’ সম্রাট বলেন, ‘‘পর্ষদের চিঠি পেলে মুখ খুলব।’’ বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘সত্যের জন্য শাস্তি মাথা পেতে নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy