প্রতীকী ছবি।
এসএসকেএম হাসপাতালে সোমবার এক যুবকের ‘ব্রেন ডেথ’ বা মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়। কিন্তু বাড়ির পুরোহিতের মত ছিল না। তাই মৃতের পরিবারকে অঙ্গদানে রাজি করানো যায়নি বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর!
এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অঙ্গদান নিয়ে এক আলোচনাসভায় কিছু প্রশ্ন, কিছু অনুযোগ, সর্বোপরি কিছু প্রস্তাব-পরামর্শ উঠে এল। অঙ্গদান নিয়ে স্কুল স্তর থেকে সচেতনতা গড়ার চেষ্টা চালানোর প্রস্তাব যেমন এল, তেমনই পরামর্শ দেওয়া হল, অঙ্গদানের বার্তাবাহক হোন ডাক্তারি পড়ুয়ারাই।
মেডিক্যালের কার্ডিয়োথোরাসিক বিভাগের প্রধান প্লাবন মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, শুধু এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কেন? অন্য সরকারি হাসপাতালেও অঙ্গদানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে না কেন? অঙ্গ প্রতিস্থাপন খরচসাপেক্ষ। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সরকারি হাসপাতালে অঙ্গদানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা উচিত বলে মনে করেন তিনি। প্লাবনবাবুর পর্যবেক্ষণ, ‘‘ব্রেন ডেথের পরে পরিবারকে বোঝানোর কাজ খুব কঠিন। অঙ্গদান যে ভাল কাজ, স্কুল স্তর থেকে সেই বোধ তৈরি হলে কাজটা সহজ হয়।’’
আলোচনাসভার সূত্রধর, একটি বেসরকারি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক অরিন্দম কর জানান, কোন রোগীর ‘ব্রেন ডেথ’ হতে পারে, সেটা বোঝা খুব জরুরি। এ বিষয়ে চিকিৎসকদের আরও দক্ষ হওয়ার প্রয়োজন আছে। রিজিওনাল অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গানাইজেশন বা রোটো-র যুগ্ম অধিকর্তা অর্পিতা রায়চৌধুরীর অনুযোগ, ডাক্তারির স্নাতক স্তরে অঙ্গদান নিয়ে যাতে পড়ানো হয়, সেই জন্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক বছর পরেও স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি।
সভার মতামত প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের অঙ্গদান সংক্রান্ত নোডাল অফিসার তমালকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘এক দিনে রোম গড়ে ওঠেনি। এনআরএসে কিডনি প্রতিস্থাপন ব্যবস্থা করার কথা। উত্তরবঙ্গে সরকারি পরিকাঠামোয় যাতে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy