—ফাইল চিত্র।
ও পার বাংলা পেরেছে। সেই পথে এ বার এ পার বাংলাও।
বাজারে যাতে আর ছোট ইলিশ (৯ ইঞ্চির কম) না-আসে, সে জন্য কেনাই বন্ধ করে দিচ্ছেন পাইকারি মাছ ব্যবসায়ীরা। রবিবার কাকদ্বীপে রাজ্যের মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির সঙ্গে ব্যবসায়ীদের এক বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়। ছোট ইলিশ ধরা রুখতে দু’পক্ষকে নিয়ে গড়া হয়েছে ‘মৎস্য সংরক্ষণ যৌথ কমিটি’ও।
ছোট ইলিশ ধরা ও বিক্রি রোখার চেষ্টা এ রাজ্যে নতুন নয়। সরকারি স্তরে বহুবারই নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবু, প্রতি বর্ষার মরসুমেই বাজারে ঢালাও ছোট ইলিশের দেখা মেলে। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মৎস্যজীবী এবং ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, গলদটা গোড়াতেই। ছোট ইলিশ জরিমানা দিয়ে বিক্রির ছা়ড়পত্রের সরকারি ব্যবস্থা রয়েছে। সেই ফাঁক গলেই তা বাজারে আসছে।
সরকারি নিয়মমতো ৯ ইঞ্চির ছোট ইলিশ ধরা নিষেধ। কিন্তু কেউ যদি তা ধরে? মৎস্য দফতরের সামুদ্রিক বিভাগের সহকারী অধিকর্তা সুরজিত বাগ জানান, সেই মাছ বাজেয়াপ্ত করে নিলাম করা হয়। নিলামের অর্থের অর্ধেক সরকারের কোষাগারে জমা পড়ে। আর বাকি অর্ধেক পান মৎস্যজীবীরা।
নতুন গড়া যৌথ কমিটির দাবি, আর ও ভাবেও ছোট ইলিশ বিক্রি করা যাবে না। আগামী কয়েক দিন এ নিয়ে গোটা রাজ্যে প্রচার চালানো হবে। ১৫ অগস্ট থেকে আর বাজারে ছোট ইলিশের দেখা মিলবে না। সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্রের উদ্যোগেই রবিবারের বৈঠক হয়। সতীনাথবাবু জানান, কলকাতার পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ীরা নিলাম থেকে বা সরাসরি ছোট ইলিশ না-কেনার অনুরোধ মেনে নিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সংগঠিত মৎস্যজীবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‘আমরা অনেক দিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। কিন্তু মৎস্য ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল। এ বার সেটা পাওয়া গিয়েছে।’’ শিয়ালদহ পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সম্পাদক বিজয় সিংহও বলেন, ‘‘ছোট ইলিশ না বাঁচলে বড় ইলিশের খরা যে কাটবে না, তা আমরাও বুঝি। কিন্তু সরকার নিলাম করত বলেই আমরা কিনতাম। আর কিনব না।’’
কিন্তু এর পরেও যদি বাজারে ছোট ইলিশ আসে? বিজয়বাবু বলেন, ‘‘আমরা না কিনলে আসবে কোথা থেকে? বাজারে এলেই আমরা জানতে পারব কোন পাইকার তা করেছে। তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy