—ফাইল চিত্র।
এ যেন এক বুধের অগ্নিপরীক্ষা আরেক বুধে৷
১১ জুলাই, বুধবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর প্রথমবার বৈঠক ছিল শিলিগুড়িতে। উত্তরকন্যায় একের পর এক প্রকল্প ধরে ধরে কীভাবে সেগুলির সুবিধা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জনজাতি অধ্যুধিত বা চা বলয়ে পৌঁছে দিতে হবে, তা বলে দিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের৷ আজ, আরেক বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ কতটা পালিত হল, তারই যেন পরীক্ষা!
প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, ‘আপনার বাগানে প্রশাসন’ কর্মসূচিতে ২৩টি বাগানে প্রায় ৪০ হাজার উপভোক্তা সরকারি সুবিধা পেয়েছেন। স্কুলে পড়াশোনা ও মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা ঠিক রাখতে নতুন কর্মসূচিও নিয়েছে প্রশাসন৷ প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ বলছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই কাজ চলছে৷ সেজন্যই কন্যাশ্রীতে ৯৫ শতাংশের সাফল্যের জন্যই রাজ্যে সেরার পুরস্কার পেয়েছে আলিপুরদুয়ার৷’’ জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, ‘‘বুধবারের বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী যেমন নির্দেশ দেবেন, সেভাবেই সেগুলি পালন করা হবে৷’’
এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাল ফল করে বিজেপি৷ মন্ত্রিত্ব হারান কুমারগ্রামের বিধায়ক জেমস কুজুর৷ মেয়াদ ফুরোতেই জয়গাঁ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে বিধায়ক উইলসন চম্প্রামারির বদলে বসানো হয় জেলাশাসক নিখিল নির্মলকে৷ তবে তৃণমূল নেতাদের একাংশের মতে, দলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মাকে যে তিনি অনেকটা ভরসা করছেন তা বিভিন্ন বৈঠকে বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁদের কথায়, ‘‘বিজেপির শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত মাদারিহাটে বিজেপিকে পর্যুদস্তু করেছেন মোহন শর্মা৷ তাই সংগঠন বৃদ্ধির দায়িত্বের পাশাপাশি তাঁকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদেও বসিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ অন্যদিকে, সরকারি সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা যাতে সঠিকভাবে সর্বত্র পৌঁছয় তার দায়িত্ব দিয়েছেন প্রশাসনকে৷’’
বিজেপির জেলা সম্পাদক জয়ন্ত রায়ের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের সবাই দূর্নীতিগ্রস্থ৷ সেজন্যই এতদিন সরকারি কোনও প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাননি৷ তবে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে দিয়ে যতই চেষ্টা করুন না কেন, জেলার মানুষ আর তৃণমূল নেতাদের নেতাদের দিকে যাবেন না৷’’ তৃণমূল জেলা সভাপতি মোহনবাবু পাল্টা বলেন, “জেলার মানুষ যে আমাদের দিকেই রয়েছে তা লোকসভা ভোটে বিজেপি বুঝবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy