প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের ৩৯টি সরকারি স্কুলের মধ্যে ৩১টিতেই এই মুহূর্তে কোনও গ্রন্থাগারিক নেই। অবিলম্বে ওই সব শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানাল সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতি। ওই সব প্রাচীন সরকারি স্কুলের গ্রন্থাগারে থাকা বই এবং নথিপত্রের ডিজিটাল সংরক্ষণেরও দাবি জানিয়েছে সমিতি।
রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির অধিকাংশই দেড়শো–দু’শো বছরের পুরনো। হেয়ার স্কুল এ বার দু’শো বছরে পড়েছে। পাশাপাশি রয়েছে উত্তরপাড়া সরকারি স্কুল, হুগলি ব্রাঞ্চ সরকারি স্কুল, কোচবিহার সদর গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের মতো সুপ্রাচীন স্কুল। দীর্ঘদিন ধরেই ওই সব স্কুলে গ্রন্থাগারিক নেই। সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর অভিযোগ, গ্রন্থাগারিকের অভাবের কথা বহু বার স্কুলশিক্ষা দফতরে জানিয়েও লাভ হয়নি। তিনি জানান, কিছু দিন আগে ১৪টি স্কুলে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হিন্দু, জেনকিন্স-সহ সাতটি সরকারি স্কুলে নতুন গ্রন্থাগারিকেরা কাজে যোগ দিলেও অন্যত্র পদ এখনও খালি।
‘‘গ্রন্থাগারিক না-থাকায় প্রাচীন স্কুলগুলির গ্রন্থাগারের বহুমূল্য বই এবং নথি অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গ্রন্থাগারিক নিয়োগের সঙ্গে সঙ্গে ওই সব বই ও নথির ডিজিটাল সংরক্ষণ করা প্রয়োজন,’’ সম্প্রতি বলেন সৌগতবাবু। তিনি জানান, বহু পুঁথি এবং ব্রিটিশ আমলে প্রকাশিত এমন সব বই এই সব স্কুলের গ্রন্থাগারে অবহেলায় পড়ে রয়েছে, যার মূল্য টাকা দিয়ে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।
উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে ১৮৬ বছর পুরনো কোচবিহার সদর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মলয় রায় জানান, স্কুলের গ্রন্থাগারে প্রায় ১০ হাজার বই আছে। কিন্তু গ্রন্থাগারিক নেই দীর্ঘদিন। ১০ হাজার বইয়ের ৮০ শতাংশই এখন উইয়ের ঢিপি। ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বিষয়টি দেখেন, তা হলে মহার্ঘ বই ও নথি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায়,’’ বলেন মলয়বাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy