অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তানিয়া শেঠ। ছবি: সুমন বল্লভ
অনশনের ২৪তম দিন, শনিবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন এসএসসি-র আরও দুই চাকরিপ্রার্থী। অন্য দিকে, সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে এ দিনই অবস্থানকারীদের সরে যেতে বলেছে পুলিশ। কিন্তু অনশনকারীরা সরতে রাজি নন। এমনকি, শিক্ষামন্ত্রীর তৈরি করে দেওয়া কমিটির সঙ্গে আলোচনায় রাজি হলেও তার পরিণতি না-দেখে অনশন প্রত্যাহার করতে নারাজ তাঁরা।
শনিবার রাত পর্যন্ত এই হল অনশনমঞ্চের সামগ্রিক পরিস্থিতি।
এ দিন সকাল থেকেই অনশনমঞ্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব যান। দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তানিয়া শেঠ নামে এক চাকরিপ্রার্থী। পুলিশি ব্যবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে অবস্থার উন্নতি হলে তানিয়া হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও বুদ্ধদেব মণ্ডল নামে আরও এক অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকেও এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি রাত পর্যন্ত ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন দুপুরে পুলিশের একটি দল অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করে এবং ওই জায়গা থেকে সরে যেতে বলে। সন্ধ্যায় লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তা জানান, ওই জায়গাটি সেনাবাহিনীর অধীনে। সেনা একটি চিঠি পাঠিয়ে পুলিশকে বলেছে, তাদের এলাকায় অনুমতি ছাড়াই দিনের পর দিন অবস্থান চলছে। সে ব্যাপারে পুলিশ যেন পদক্ষেপ করে। ওই পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘আমরা ওই চাকরিপ্রার্থীদের তো জোর করে সরিয়ে দিতে পারি না। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারি দফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। তাই আমরা গিয়ে বিষয়টি অনশনকারীদের জানিয়েছি। সেনার চিঠির প্রতিলিপিও দেখানো হয়েছে।’’
যদিও অবস্থান তুলে নিতে নারাজ অনশনকারীরা। এ দিন পুলিশ-সহ অন্য সব প্রতিনিধিদেরই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারের কাছ থেকে চাকরির নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি ছাড়া অনশন প্রত্যাহার করা হবে না।
এ দিন সকালে দাবি সমর্থন করে অনশনকারীদের কাছে গিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। বিকেলে মিছিল করে এসে অনশনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছে এসএফআই-ডিওয়াইএফআই। এসইউসি
প্রভাবিত শিল্পী-সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে অনশনকারীদের দাবি মেনে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। একই দাবি জানিয়েছে কলকাতা নাগরিক সম্মেলনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy