প্রতীকী ছবি।
বোনের যাকে মনে ধরেছিল, দিদিও তাঁকে পছন্দ করতেন। এ নিয়ে কেউ কারও কাছে কোনও দিনই মুখ খোলেননি।
প্রথম দিকে দু’জনেই বিষয়টি গোপন রাখতেন। ঘটনাচক্রে, ওই পাত্রের সঙ্গেই তাঁদের দু’জনেরই বিয়ে হয়। কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দুই বোনের নিত্যদিনের ঝগড়া-বিবাদে শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হলেন মহম্মদ আব্বাস নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি!
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় গাড়িচালক মহম্মদ আব্বাসের সঙ্গে বছর দশেক আগে ছোট বোনের বিয়ে হয়। বড় বোনেরও সেই সময়ে অন্যত্র বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, কয়েক বছরের মধ্যেই বড় বোনের স্বামী মারা যান। তার কয়েক দিন পরে আব্বাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়।
প্রথম দিকে আব্বাসের সংসারে তেমন কোনও সমস্যা হয়নি বলেই পরিবারের অন্য সদস্যদের দাবি। আব্বাসের সঙ্গে মিলেমিশে সংসারও করছিলেন দুই বোন। কিন্তু, দ্বিতীয় বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই আব্বাসকে নিয়ে দুই বোনের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। তার পর ঝগড়া-বিবাদ। নিত্যদিনের সেই ঝামেলা সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হত আব্বাসকে। প্রতিবেশীরা তেমনটাই দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘মেয়ে আর আমাকে পাচার করা হচ্ছে!’, স্বামীকে ফোনে বললেন স্ত্রী
আব্বাসের পরিবার এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ, শেষ পর্যন্ত সাংসারিক ঝামেলা থেকে ‘মুক্তি’ পেতে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন আব্বাস। বুধবার রাতে আব্বাস বিষ খেয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হলে তাঁকে রেফার করা হয় বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে।পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয়েছে আব্বাসের।
আরও পড়ুন: ডুবছে পিএফ-পেনশনের ২০ হাজার কোটি, অবসরের পাওনা অনিশ্চিত ১৪ লক্ষ কর্মীর
ঘুটিয়ারি শরিফের বাসিন্দা হলেও, আদতে মহম্মদ আব্বাস বিহারের বাসিন্দা। পেশায় গাড়িচালক সম্প্রতি নিজের একটি গাড়িও কিনেছিলেন। কিন্তু এই অশান্তির জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত। কিন্তু ওই যুবক যে আত্মঘাতী হবেন, তা বুঝতে পারেননি কেউই। কী কারণে ওই যুবক বিষ খেয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
(দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ, সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের খবর পেয়ে জান আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy