—ফাইল চিত্র।
চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি থেকে পাহাড়ে শান্তি ফেরানো, সব বিষয়েই এ দিন কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্যের ভালর জন্য আমি পাহারাদার। তবে সত্যি কথার পাহারাদার, মিথ্যে কথার নয়।”
গত লোকসভা ভোট থেকেই চা বাগান নিয়ে বিস্তর টানাপড়েন চলেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে। লোকসভা ভোটের পরে এসে বিজেপি নেত্রী নির্মলা সীতারামণ বলেছিলেন, সাতটি বন্ধ চা বাগানকে অধিগ্রহণ করা হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে আইনি জটিলতায় তা করা সম্ভব হয়নি। এর পরে মমতা পাল্টা দাবি করেন, ওই সাতের মধ্যে পাঁচটা বাগান তাঁরা খুলিয়ে দিচ্ছেন। এ দিন সেই লড়াইয়েরই পরের পাঠ দিয়ে গেলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, আগামী মাস থেকে সব বাগানেই চা শ্রমিকদের ১৭৬ টাকা করে মজুরি দিতে হবে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কলকাতায় এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। তখনই ঠিক হয়, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি ঘোষণা করবেন।
এই ঘোষণার সঙ্গেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা বাধা দিচ্ছেন, দিতে পারেন। কিন্তু চা শ্রমিকদের আগামী মাস থেকে ১৭৬ টাকা করে মজুরি দিতে হবে।” চা বাগান নিয়ে কেন্দ্রকেও আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, “বিজেপি ভোটের আগে চা শ্রমিকদের এসে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়।” যদিও চা শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ১৭৬ টাকা মজুরির বিষয়টি মানতে চায়নি। তাদের দাবি, ন্যূনতম মজুরি চুক্তি। বিজেপি নেতা জন বার্লার কথায়, “১৭৬ টাকায় পেট চলবে না। ন্যূনতম মজুরি চাই। মুখ্যমন্ত্রী শুধুই গালভরা কথা বলছেন।”
আরও পড়ুন: বেতন কমিশনের মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়িয়ে দিল রাজ্য, ক্ষুব্ধ তৃণমূলের সংগঠনও
এই বক্তৃতাতেই মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘দার্জিলিঙে যখন আগুন জ্বলছিল, তখন কেন্দ্র মদত দিয়েছিল। দার্জিলিঙে গোলমাল চললে কি জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ভাল থাকত? আমরা দার্জিলিঙে শান্তি ফিরিয়েছি।’’
এ দিন বিজেপির একাধিক তাস নিজের মতো ব্যবহার করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেকে রাজ্যের ভালমন্দের রক্ষক বলে উল্লেখ করেন তিনি। এক সময়ে নরেন্দ্র মোদী নিজেকে দেশের চৌকিদার বলেছিলেন। তাই নিয়ে এখন বিরোধী কটাক্ষ করছেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা এ দিন বলেছেন, ‘‘আমিও পাহারাদার। তবে মিথ্যে কথার নয়।’’
আরও পড়ুন: চোরাচালান বন্ধে হুঁশিয়ারি পুলিশকে
এ দিনই দেশ জুড়ে সর্দার বল্লভভাই পটেলের জন্মদিন পালন করছে বিজেপি। এ দিনই সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “সর্দার দেশকে এক করার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলাই সেই অখণ্ডতার পথ সারা দেশকে দেখাবে।” এর পাশাপাশি মমতা বলেন, “আগামী দিন আমি না থাকলেও, এমন নেতাদের তৈরি করে দিয়ে যাব, যাতে কোনও সমস্যা না হয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy