অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়তে তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে প্রকৃত কংগ্রেসিদের সেখানে আসার ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৯৮ সালে তাঁর সেই ডাকে কংগ্রেসের বিরাট অংশ ‘হাত’ ছেড়ে মমতার তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
এখন মূল লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির। আর সেই লড়াইকে শক্তিশালী করতে দু’দশক পরে মমতার ডাক অনুসরণ করে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বাঁকুড়ায় এক সভায় বললেন, ‘‘কংগ্রেসকে বলব, দয়া করে সময় নষ্ট করবেন না। প্রকৃত কংগ্রেসকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা আমাদের দলে আসুন।
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক কংগ্রেস বিধায়ককে ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মাসখানেক আগে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেও কংগ্রেস ছেড়ে কয়েক জন বিধায়ক তৃণমূলের মঞ্চে এসেছেন। সেই ‘দলবদলু’ বিধায়কদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অভিষেকও এ দিন বলেছেন, ‘‘মানসদা(ভুঁইয়া), শ্যামদা (মুখোপাধ্যায়), তুষারদা(ভট্টাচার্য)-রা আমাদের দলে এসেছেন।’’
আরও পড়ুন: সভাতেই দলের দ্বন্দ্ব এল প্রকাশ্যে, সভা থামিয়ে ধমক অভিষেকের
আরও বেশ কয়েক জন কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ককে শাসক দলে টানার চেষ্টা চলছে বলে কংগ্রেস ও তৃণমূল অন্দরেই গুঞ্জন। কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে এ ভাবে তৃণমূলের সংসার বৃদ্ধিকে রাজনৈতিক ভাবে ‘ঠেকাতে’ তৃণমূল নেত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের তরফে। কংগ্রেস ভাঙানো হবে না বলে মমতা মৌখিক আশ্বাসও দেন। কিন্তু ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ।
ইতিমধ্যে আগামী লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির মোকাবিলায় বিরোধী ঐক্য গড়তে সচেষ্ট হয়েছেন মমতা। ওই বিরোধী শিবিরে এই রাজ্যে কংগ্রেসের ‘ভূমিকা’ কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে ভোট-বোঝাপড়া চান না। মমতাও চান, রাজ্যে একা লড়তে। এই অবস্থায় যুব তৃণমূল সভাপতির এ দিনের আহ্বান বিষয়টিতে নতুন মাত্রা যোগ করল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘নিজেদের শক্তিতে তৃণমূলের ভরসা নেই। তাই বলেই কংগ্রেস ভাঙানোর ডাক দেওয়া হয়েছেকেউ যদি ক্রীতদাস হতে ওই দলে যেতে চান, কী করব! ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy