কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিলের প্রতিবাদে সারা দেশে হাসপাতালে ১২ ঘণ্টার জন্য বহির্বিভাগ বন্ধ রাখার কথা সোমবারই জানিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আইএমএ। তার জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতা-সহ গোটা দেশে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত বিপর্যস্ত। তবে, জরুরি পরিষেবায় এর কোনও প্রভাব পড়েনি বলে আন্দোলনকারীদের তরফে দাবি করা হয়েছে।
আন্দোলন, প্রতিবাদের সূত্রপাত গত শুক্রবার থেকে। ওই দিন নয়া ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয়। যাতে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ভেঙে দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা পরিচালনা ও তার উপদেষ্টা হিসাবে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন নামে একটি সংস্থা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদ চিকিত্সা যাঁরা করেন, তাঁরা একটি ব্রিজ কোর্স সম্পূর্ণ করার পর অ্যালোপ্যাথি চিকিত্সা করতে পারবেন, এমন প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। বিলটি পেশ হওয়ার পরেই তা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয় আইএমএ।
তাদের অভিযোগ, এই বিলটি গরিব-বিরোধী, অগণতান্ত্রিক। অ্যাসোসিয়েশেনর আরও অভিযোগ, বিলের মাধ্যমে মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞদের ক্ষমতা ও অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় রোগী ও রোগীর পরিবার। — নিজস্ব চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানায় আইএমএ। কী ভাবে আগামী দিনে আন্দোলন পরিচালনা করা হবে, তার রূপরেখা ঠিক করতে সোমবার মুম্বইয়ে সংগঠনের এক্সিকিউটিভ কমিটি জরুরি বৈঠকে বসে। সেখানেই মঙ্গলবার সারা দেশে ‘কালা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো এ দিন কলকাতা-সহ দেশের বেশির ভাগ হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন, দূষণ রোধে রাজ্য চায় বিদ্যুৎ-বাস
আরও পড়ুন, কর্মীরাই সম্পদ, ভোটের বছরে বার্তা মমতার
যদিও, কলকাতায় সরকারি হাসপাতালগুলির আউটডোর চিকিত্সা চলছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, বেসরকারি হাসপাতালগুলির আউটডোর পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার নয়া বিলটি নিয়ে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। সেই বিক্ষোভে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy