প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটের পর বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে শাসক পক্ষকে চেপে ধরার প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছিল বিরোধীরা। কিন্তু তার মোকাবিলায় বিশেষ সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না শাসক শিবিরে। চলতি অধিবেশনের শুরু থেকেই ‘কাটমানি’-বিতর্কে সরগরম বিধানসভা। রাজ্যপালের ভাষণের উপরে আলোচনার সময়ে বিরোধী দলের বিধায়করা ওই বিষয়ে বার বার খোঁচা দিচ্ছেন সরকার পক্ষকে। কিন্তু শাসক দলের বিধায়কদের তেড়েফুঁড়ে তার জবাব দিতে দেখা যাচ্ছে না।
রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে আলোচনায় মঙ্গলবার শাসক দলের কোনও কোনও বিধায়ক যখন বিরোধীদের পাল্টা জবাব দেন, তখন তাঁদের সমর্থন করার জন্যও যথেষ্ট সংখ্যক তৃণমূল বিধায়ক সভায় ছিলেন না। পরে এক সময় মাত্র চার জন মন্ত্রী সভায় ছিলেন। তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেসের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী। শেষ বক্তা হিসেবে নাম থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের গৌরীশঙ্কর দত্ত সেই সময় অনুপস্থিত থাকায় অধিবেশন মুলতবি করে দেন স্পিকার। রাজ্যপালের ভাষণের উপরে আলোচনার আজ, বুধবার জবাবি ভাষণ দেওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর উপস্থিতিতে সভায় কোনও শিথিলতা যাতে চোখে না পড়ে, তার জন্য অবশ্য তৎপর হচ্ছে শাসক শিবির।
অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে এ দিন রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা চলাকালীন কংগ্রেস এবং বাম বিধায়কেরা ‘কাটমানি’ (বখরা) এবং বিজেপির উত্থান— দুইয়ের জন্যই তৃণমূলকে দায়ী করেন। কিন্তু বখরা ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণাকে ‘সাধু’ উদ্যোগ বলা ছাড়া তৃণমূল বিধায়কেরা আর বিশেষ কিছু বলার চেষ্টা করেননি। আলোচনা এগোতে শাসক দলের বিধায়কের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে। এক সময় শশী পাঁজা, উজ্জ্বল বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ, এবং মন্টুরাম পাখিরা ছাড়া আর কোনও মন্ত্রীও সভায় ছিলেন না। কংগ্রেসের মনোজবাবু প্রশ্ন তোলায় মুখ্য সরকারি সচেতক নির্মল ঘোষ মন্ত্রী খুঁজতে বেরোন! নিয়ে আসেন মন্ত্রী তাপস রায়কে। কিছু ক্ষণ বাদে আসেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, জাভেদ খান, অসীমা পাত্র, রত্না কর ঘোষ— এই চার মন্ত্রীও।
মনোজবাবু এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আপনি জিরো হয়ে যাচ্ছেন। চুপসে যাচ্ছেন।’’ পরে সভার বাইরে তিনি বলেন, ‘‘শাসক দলের সংখ্যা এবং আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, ওরাই বিরোধী!’’ পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘বিরোধীদের হাতে কোনও বিষয় নেই। তাই ওরা একটা ব্যাপার নিয়েই জলঘোলা করছে!’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy