ছবি: সংগৃহীত
ছ’বছরেরও বেশি কালিম্পং আদালতের মালখানায় পড়ে ছিল জিনিসটা। তার পরেও হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ পুথি ‘গাইতংপা’-র বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই দাবি করেছেন ভারতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আর্দ্রতার কারণে কাঠের তৈরি ওই পুথিতে স্যাঁতসেঁতে ভাব হয়েছে। সেটা কাটাতে পুথি সংরক্ষণের কাজ চলছে।
জাদুঘর কর্তৃপক্ষের তরফে আইনজীবী জয়ন্ত সেনগুপ্ত আদালতে জানান, লখনউ-এর ‘ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি ফর কনজারভেশন অব কালচারাল প্রপার্টি’র অধিকর্তা জানিয়েছেন, ওই আর্দ্রতা কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব। জাদুঘরের অছি পরিষদ সম্প্রতি রাজ্যপালের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে, পুথিগুলি যাতে জনসাধারণ দেখতে পান, তার অনুমতি দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: জনস্বার্থ মামলার পথিকৃতের প্রয়াণ
রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরির তদন্তে নেমে কালিম্পং থেকে হাজার বছরের পুরনো এই গাইতংপা পুথি ও বেশ কয়েকটি বুদ্ধমূর্তির হদিস পেয়েছিল সিবিআই। বিদেশে ওই পুথি পাচারের চেষ্টা করার দায়ে এক তিব্বতি ভিক্ষু-সহ তিন জনকে গ্রেফতারও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
মামলা চলাকালীন ভিক্ষু মারা যান। তদন্তে ফাঁক থাকায় পরে অন্য দুই অভিযুক্তও মামলা থেকে অব্যাহতি পান। কিন্তু পুথি ও মূর্তি থেকে যায় কালিম্পং আদালতে মালখানার একটি সিন্দুকে।
এমন একটি জাতীয় সম্পদ মালখানায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে জানতে পেরে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই-কে ভর্ৎসনা করেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই ওই সিন্দুকের চাবি তুলে দেয় ভারতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের হাতে। শুক্রবার জাদুঘর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নথিভুক্ত করে মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেয় আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy