ফাইল চিত্র।
জায়গার অভাব। তাই ভারতীয় জাদুঘরের অজস্র দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী জনসাধারণের সামনে আনা যাচ্ছে না। সংস্কার হলে সেই সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হবে বলে মনে করছেন ভারতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ওই সব দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে ‘থিম’-এর ধারা আনা যায় কি না, কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পরে এই নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
গত মাসে কলকাতা সফরে এসে জাদুঘরের সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাজেটে দেশের সব থেকে পুরনো জাদুঘরের সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও। আজ, রবিবার জাদুঘরের ২০৬তম প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রাক্কালে অর্থমন্ত্রীর এই প্রস্তাব বিশেষ প্রাপ্তি বলেই মনে করছেন জাদুঘরের কর্তারা।
জাদুঘর সূত্রের খবর, এখন যতটা জায়গায় পুরাতত্ত্ব, দুষ্প্রাপ্য সামগ্রীর প্রদর্শনীর ব্যবস্থা আছে, তা যথেষ্ট নয়। কারণ, জাদুঘরের সংগ্রহে এই ধরনের আরও অনেক সামগ্রী রয়েছে, স্থানাভাবের দরুন যেগুলি প্রকাশ্যে আনা যায় না বা স্থায়ী ভাবে প্রদর্শন করা যায় না। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজ়িয়ামের ডিরেক্টর জেনারেল তথা বর্তমানে ভারতীয় জাদুঘরের অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা অরিজিৎ দত্তচৌধুরী বলেন, ‘‘ভারতীয় জাদুঘরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করতে হলে অর্থের প্রয়োজন। তাই এই প্রস্তাব প্রশংসনীয় ও স্বাগত।’’ যদিও ভারতীয় জাদুঘর খাতে কত বরাদ্দ হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানান অরিজিৎবাবু। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের জন্য ৩১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে কত টাকা ভারতীয় জাদুঘরের জন্য, তা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।’’
এ দিনের বাজেটের পরেই প্রাথমিক ভাবে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন জাদুঘরের পদস্থ কর্তারা। কী ভাবে দুষ্প্রাপ্য সামগ্রী প্রদর্শনীর পাশাপাশি কোন জায়গায় কী সামগ্রী রয়েছে, সেটি কী ধরনের, কোন সালের, সেই সব তথ্য ‘ডিজিটাইজ়ড’ করা যায় কি না ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে দুর্গাপুজো, হোলি-সহ বিভিন্ন উৎসব, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাদুঘরের সামগ্রী প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘সাধারণ দর্শককে যথাসম্ভব বেশি সংখ্যায় জাদুঘরে আনাটাই আমাদের লক্ষ্য।’’
পুরনো টাঁকশাল ভবনে মুদ্রা সংক্রান্ত তথ্য ও বাণিজ্য নিয়ে একটি জাদুঘর তৈরি হবে বলেও এ দিনের বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy