প্রতীকী ছবি।
দলের কর্মিসভার মঞ্চেই প্রকাশ্যে এসে পড়ল দলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী ও প্রাক্তন সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মণের দ্বন্দ্ব। রবিবার জলপাইগুড়িতে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের কর্মিসভা ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য মহিলা সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সামনেই এই ঘটনা ঘটে।
এ দিন সভায় বিজয়চন্দ্রের উপস্থিতিতেই কৃষ্ণকুমার বলেন, ‘‘দলের নেতাদের ব্যর্থতার জন্যই লোকসভা নির্বাচনে দলের হার হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডেই দলের হার হয়েছে।’’ এরপরেই বক্তব্য রাখতে ওঠেন বিজয়চন্দ্র বর্মণ। তখন তিনি
বলেন, ‘‘জলপাইগুড়িতে দলের আন্দোলনে এখন আর তেমন গতি নেই। আন্দোলন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ঝিমিয়ে পড়েছে দলও। প্রাণবন্ত আন্দোলনের অভাব দেখা দিয়েছে।’’
তারপরে দলের মহিলা সংগঠনের জেলা সম্পাদিকা যুথিকা রায় বসুনিয়া মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, ‘‘মেনে নিতে পারি না
বিজয়চন্দ্র বর্মণের বক্তব্য।’’ সঙ্গে সঙ্গেই যুথিকাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘এটা সমালোচনা করার
জায়গা নয়। তুমি তোমার বক্তব্য রাখ।’’ যদিও যুথিকার ওই বক্তব্য শোনামাত্র মঞ্চ ছেড়ে চলে যান বিজয়চন্দ্র বর্মণ।
এ দিন পরে বিজয়চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘ঠিকই বলেছি আমি। বর্তমানে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। যে ভাবে দল চলছে তা মোটেও দলের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়।’’ আর কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, ‘‘আমি পিছনে কোনও কথা বলি না। যাকে যা বলার আমি সামনাসামনিই বলি। আসলে তোলামূলীদের জন্যই দলের হার হয়েছিল।’’
যদিও দ্বন্দের কথা মানতে চাননি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয়
নয়। আসলে কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।’’
এ দিন কর্মিসভায় জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল ও দলের আরও কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল শহর ব্লক সভাপতি মোহন বসু। এই বিষয়ে মোহন বলেন, ‘‘বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এ দিন অনেকগুলি কর্মসূচি থাকায় মহিলাদের কর্মিসভায় উপস্থিত হতে পারিনি।’’
মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী সাগরিকা সেন বলেন, ‘‘মোহন বসু আগেই জানিয়েছিলেন অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy