ফাইল চিত্র।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠন ক্ষয়িষ্ণু। এই ভাঙা হালেও সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ে বাড়তি সমস্যা ডেকে আনছে ঘরোয়া বিবাদ!
বার্নপুরে সংগঠনের সদ্যসমাপ্ত রাজ্য সম্মেলনে রদবদল হয়েছে এসএফআইয়ের রাজ্য নেতৃত্বে। পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল আগেই। কিন্তু বর্ধমান জেলা থেকে ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে মুখ নিয়ে আসার পরিকল্পনা বানচাল হয়ে গিয়েছে দলের ভিতরের দ্বন্দ্বেই। রাজ্য সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতি পদে চর্চায় থাকা এক জোড়া মুখের বদলে শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব পেয়েছেন অন্য দু’জন। আবার সম্পাদক পদে অন্যতম দাবিদার এক ছাত্র-নেতার পথ আটকে গিয়েছে জেলা সিপিএমে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন বসায়।
রাজ্য সম্মেলন থেকে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন কলকাতার সৃজন ভট্টাচার্য এবং সভাপতি হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রতীক উর রহমান। ছাত্র সংসদের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সরকারি ভাবনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবারই সংগঠনের নতুন রাজ্য নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম বিবৃতি জারি করেছেন। তবে সংগঠনের অন্দরে বেশি চর্চা হচ্ছে দুই ছাত্র-নেতা সোহম মুখোপাধ্যায় ও বিকাশ ঝা-র বিরুদ্ধে কমিশন গঠন নিয়ে। তাঁরা দু’জনেই দলের কর্মী। ছাত্র সংগঠন স্তরে নয়, দু’জনের বিরুদ্ধে কমিশন গড়া হয়েছে কলকাতা জেলা সিপিএমে। অনেকটা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘটনার ছায়ায় এঁদের ক্ষেত্রেও অভিযোগ ব্যক্তিগত জীবন সংক্রান্ত। ছাত্র সংগঠনের মধ্যেই কারও কারও প্রশ্ন, অভিযুক্তেরা কি দলের গোষ্ঠী-রাজনীতির বলি হলেন?
বর্ধমানের এক ছাত্র-নেতা শেষ পর্যন্ত রাজ্যের কোনও শীর্ষ পদে আসতে না পারলেও ওই জেলার মধ্যে কোন্দল চরমে। রাজ্য সম্মেলনের ঠিক আগেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এসএফআই জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য তন্ময় চক্রবর্তী ও স্বাধীন দত্ত। বর্ধমানের বেশ কিছু প্রতিনিধি সম্মেলন বয়কটও করেছেন। তাঁদের ক্ষোভ ওই জেলারই এক প্রাক্তন ছাত্র-নেতার বিরুদ্ধে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের অবশ্য দাবি, ‘‘সম্মেলন-পর্ব ভাল ভাবেই মিটেছে। সংগঠনকে আন্দোলনের পথে রাখাই এখন মূল লক্ষ্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy