সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলে পরিদর্শন জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গেই অন্যান্য বোর্ডের স্কুল পরিচালনায় ‘নজর’ রাখতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
তার পরেই নড়েচড়ে বসেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। দেখাশোনার সেই কাজটা কলকাতা থেকেই শুরু করতে চায় তারা। তবে কলকাতা সর্বশিক্ষা মিশনের এক কর্তা জানান, অন্য বোর্ডের স্কুলে শিক্ষার অধিকার (আরটিই) আইন যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে কি না, দেখা হবে মূলত সেটাই। প্রয়োজনে কোনও ‘টিম’ গড়া হতে পারে। এর সঙ্গে নজরদারির কোনও সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওই শিক্ষাকর্তা জানান, কলকাতায় আইসিএসই এবং সিবিএসই বোর্ডের প্রায় ৪৫০টি স্কুল আছে। তাই এখান থেকেই কাজ শুরু হবে। তবে অভিভাবকদের দাবি, সরকার তো আগেই বেসরকারি স্কুলে ফি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছিল। সেই কাজটাই আগে করুক তারা।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেছিলেন, ‘‘শুধু এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা অনাপত্তি শংসাপত্র) দিলেই চলবে না। ওই সব স্কুলে কী হয়, সেটাও দেখা হবে।’’ কলকাতা সর্বশিক্ষা মিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিকাশ ভবন জানিয়েছে, কলকাতায় বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা বেশি। তাই পরিদর্শন এখান থেকেই শুরু হবে।’’
কেন্দ্রের আরটিই আইনে বলা হয়েছে, স্কুলে সব পড়ুয়া যাতে সমান ভাবে পড়াশোনার সুযোগ পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সেটা তো দেখা হবেই। স্কুলে পরিচ্ছন্ন সুস্থ পরিবেশ, মানসিক বিকাশের উপযোগী পরিস্থিতি রয়েছে কি না, সেটাও দেখতে চায় রাজ্য। রাজ্য ও কেন্দ্রের যে-সব নির্দেশিকা রয়েছে, সেগুলি কী ভাবে মেনে চলা হচ্ছে, দেখা হবে তা-ও। নতুন বেসরকারি স্কুল শুরু করতে গেলে স্কুলশিক্ষা কমিশনারেটের কাছ থেকে অনাপত্তি শংসাপত্র নিতে হয়। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে সেই শংসাপত্রটুকু দিয়েই কাজ সারে জেলার স্কুলশিক্ষা দফতর। দেখাশোনার পাট আর থাকেই না। এমনকি কোনও শহর বা জেলার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে সরকারের তরফে সমীক্ষা হলেও সেখানে বাদ পড়ে যায় বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা। কলকাতার সর্বশিক্ষা মিশনের এক কর্তা জানান, শিক্ষার সব ক্ষেত্রই যাতে সরকারের গোচরে থাকে, সেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এতে সার্বিক ভাবে ভাল হবে বলেই তাঁর অভিমত।
আইসিএসই বোর্ডের স্কুল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নবারুণ দে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আমাদের এনওসি দিয়েছে। আরটিই ঠিকমতো মেনে চলা হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাদের।’’ সিবিএসই বোর্ডের গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের অধ্যক্ষা ইন্দ্রাণী মিত্র বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার যদি আরটিই-র বিষয় দেখতে চায়, তা হলে তো সেটা ভালই। এতে কোনও অসুবিধা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy