পাওয়ার কথা মোট ১০০ কোটি। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান (রুসা)-এর প্রথম কিস্তিতে ৪১ কোটি ৬৬ লক্ষের কিছু বেশি টাকা পেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এই অনুদান পাওয়ার জন্য শিক্ষকপদ পূরণের যে-শর্ত রয়েছে, সেটা মে মাসের মধ্যে পূরণ করা হবে বলে জানান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
উৎকর্ষের বিচারে দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে রুসার অঙ্গ হিসেবে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই তালিকায় এ রাজ্য থেকে আছে শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ওই টাকার ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র, বাকিটা দেয় রাজ্যে। প্রথম কিস্তিতে যাদবপুরকে ৪১ কোটি ৬৬ লক্ষের কিছু বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র, বাকিটা রাজ্য। তবে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছিল, অনুদান পেতে হলে কমপক্ষে ৭০% পদে অবশ্যই শিক্ষক থাকতে হবে। কিন্তু যাদবপুরে ৭০ শতাংশ পদে শিক্ষক নেই। শিক্ষক আছেন ৬৭ শতাংশ পদে।
উপাচার্য জানান, দিল্লিতে এক উপস্থাপনায় তিনি কেন্দ্রকে আশ্বস্ত করেছেন, আগামী মে মাসের মধ্যে শিক্ষকপদ পূরণের শর্ত পালন করা সম্ভব হবে। এই কাজে তাঁরা ইতিমধ্যে উদ্যোগী হয়েছেন। তার পরেই এই টাকা পেল যাদবপুর। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কিছু নিয়ম পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তখন রাজ্য সরকার নিয়োগের বিষয়ে ধীরে চলার নির্দেশ দেয়। ২০১৭ সালের শেষ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি মেলে। সেই অনুসারে চলতি বছরে শূন্য পদ পূরণের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। সুরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘মে মাসের মধ্যে শিক্ষকপদ পূরণ করতে পারব। সেই কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের এবং রাজ্য সরকারের সহযোগিতার ফলে এই অনুদান পাওয়া গিয়েছে।’’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন জুটা-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও যাদবপুরে গবেষণা ও পড়াশোনা যে ভাল ভাবে চলে, এই অনুদান সেটাই প্রমাণ করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy