ফের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পথে যেতে চান চাকরিপ্রার্থীরা। —ফাইল চিত্র।
টেট পাশ করেছেন। নিয়েছেন ডিএলএড প্রশিক্ষণও। কিন্তু স্কুলে নিয়োগপত্র পাননি। এই অবস্থায় তাঁরা প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করতে চলেছেন বলে জানিয়ে দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আরও দাবি, শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে। অবিলম্বে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
কর্মপ্রার্থীদের এই ক্ষোভের আঁচ সম্প্রতি গিয়ে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক লাইভেও। ২১ জুলাই মমতার ফেসবুক লাইভের সময় দেখা যায়, সেখানে কমেন্ট বক্সে শিক্ষকপদ প্রার্থীরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজেও তাঁর প্রোফাইলে গিয়ে সেখানকার কমেন্ট বক্সে অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী নিজেদের ক্ষোভ ও উদ্বেগের কথা জানান।
এমনই এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘‘করোনার প্রকোপের মধ্যে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন থেকে বিরত ছিলাম। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। আমরা আবার আন্দোলনে নামতে চলেছি।’’ চাকরিপ্রার্থীরা জানান, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ পরীক্ষায় (টেট) উত্তীর্ণ হয়েছেন অনেক আগেই। কিন্তু ডিএলএড না-থাকায় তখন তাঁরা চাকরির সুযোগ পাননি। তখন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, পরে ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিলে তাঁদের ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে। সেই অনুযায়ী তাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেন। কিন্তু তার পর থেকে বসেই আছেন। স্কুলে নিয়োগ করা হচ্ছে না। চরম আর্থিক দুর্দশায় দিন কাটাতে হচ্ছে। উচ্চ প্রাথমিক স্তরে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘ আট বছর ধরে মামলা চলছে। এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষাও বন্ধ। প্রার্থীদের দাবি, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি ঘটিয়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। চালু করতে হবে নিয়োগ পরীক্ষা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই বলেন, ‘‘২০১৭ সালে টেটের ফর্ম পূরণ করার পরেও পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। অনেক প্রার্থীর চাকরির বয়স চলে গেল। তাঁরা আর স্কুলে চাকরি পাবেন না। এর জন্য সরকার দায়ী। ১৭ জন প্রশিক্ষিত প্রার্থী আত্মহত্যা করেছেন। শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু না-হলে আমরা আবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব।’’ এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এসএমএসেরও উত্তর দেননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy