ফাইল চিত্র।
নানান আপত্তিতে আটকে ছিল দীর্ঘদিন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ‘স্ট্যাটিউট’ বা বিধি অবশেষে মঙ্গলবার কর্মসমিতিতে গৃহীত হল।
তৃণমূল কংগ্রেস ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করা হয়েছিল। সেই জন্য রাজ্যের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিধি সংশোধনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যাদবপুরে বিধির খসড়া তৈরি করে তৎকালীন রাজ্যপাল-আচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছিল। ২০১৬ সালে সেই খসড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এলে দেখা যায়, সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করে সংবাদমাধ্যমে কিছু বললে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিতে পারবে, এমন একটি ধারা তাতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সেই সময় প্রবল আপত্তি ওঠে। গত ডিসেম্বরে বিধির খসড়া নিয়ে কর্মসমিতিতে আবার আলোচনা করার কথা ছিল। সেই খসড়া বিধিতে ওই ধারা বাদ দেওয়া হয়। সেই সময় শিক্ষাকর্মীদের তরফে জানানো হয়, খসড়া বিধি দেখার যথেষ্ট সময় তাঁরা পাননি। তার জন্য কিছুটা সময় দরকার।
শেষ পর্যন্ত এ দিন কর্মসমিতিতে বিধি নিয়ে আলোচনা হয়। রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, ‘‘স্ট্যাটিউট কর্মসমিতিতে গৃহীত হয়েছে। এ বার তা উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠানো হবে।’’
বিধি না-থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় অসুবিধা হচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ উঠেছে। বিধি সংশোধিত না-হওয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নীতি নির্ধারক বডি নির্বাচিত প্রতিনিধি-শূন্য হয়ে পড়ে। এত দিন যাদবপুরে ইন্টারডিসিপ্লিনারি স্টাডিজ়, ল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বা আইএসএলএম ফ্যাকাল্টির ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষমতাও ছিল না। কারণ, আইএসএলএম ফ্যাকাল্টি চালু হয়েছিল ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধনের পরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy