সম্মানীয়: জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবন চত্বরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হল শনিবার। ছবি: সন্দীপ পাল
হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চের পরিকাঠামো তৈরির কাজ কবে শেষ হবে, রাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে তা জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বিচারপতিদের জানান, এক বছরের মধ্যে ভবনের অনেকটাই তৈরি হয়ে যাবে। ততদিন অস্থায়ী ভাবে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় কাজ করা সম্ভব কি না, শনিবার সেটিই সরেজমিনে দেখলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য-সহ আট বিচারপতি।
অস্থায়ী ভবনের এজলাসের ঘরগুলিতে নম্বর লাগানো, বই রাখার আলমারিগুলি দেওয়ালের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার মতো বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় সাত ঘণ্টা পরিদর্শন চলে। পরিদর্শনের শেষে সেচভবনে বিচারপতিদের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর কথাবার্তাও হয়। পরে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “আমরা খুবই আশাবাদী। খুব তাড়াতাড়ি আবার জলপাইগুড়িতে আসব।”
বিচারপতিদের দল পরিদর্শনে এলে সাধারণত সার্কিট হাউসে তাঁদের ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। তবে, এদিন অস্থায়ী আদালত ভবন চত্বরেই তাঁদের গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। অস্থায়ী আদালত ভবনেই তোলা হয় জাতীয় পতাকা। সব এজলাসে অশোকস্তম্ভ এবং সত্যমেব জয়তে লেখা স্টিকার লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।
পরিদর্শনকারী প্রতিনিধি দলে ছিলেন মোট ১১ জন। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ছিলেন বিচারপতি অনিরূদ্ধ বসু, নাদিরা পাথারিয়া, বিশ্বনাথ সমাদ্দার, দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়, শিবকান্ত প্রসাদ। প্রতিনিধি দলে ছিলেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল শুভাশিস দাশগুপ্তও।
বিচারপতিরা এ দিন তিস্তা ভবন, কর্মী আবাসন পরিদর্শন করে পাহাড়পুরে হাইকোর্টের স্থায়ী ভবনের জন্য অধিগৃহীত জমি দেখতে গিয়েছিলেন। ওই চল্লিশ একর জমি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো দেখভালের দায়িত্বে থাকা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘পরিদর্শনের পর সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
সার্কিট বেঞ্চের এজলাসে সরকারি আইনজীবীদের প্যানেল তৈরির কাজও দ্রুত সেরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীর সঙ্গে আইনমন্ত্রীর এ নিয়ে একপ্রস্থ কথাও হয়েছে। কবে উদ্বোধন হবে, তা হাইকোর্টের এক্তিয়ার বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy