ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, স্থগিত থাকবে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর)-এর যাবতীয় কাজ। তার পরেও এনপিআর-এর কাজে কর্মী চেয়ে কামারহাটি এবং টিটাগড় পুরসভার নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। যদিও বিষয়টি প্রকাশ্যে আসামাত্র দুই পুরসভাই সেই নির্দেশিকা বাতিল করেছে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এ দিন তৃণমূলের ধর্নামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কামারহাটিতে এনপিআর নিয়ে নোটিস পড়েছে। বারণ সত্ত্বেও না জেনে করেছে। আমি তাকে শো-কজ করেছি।’’ এনপিআর নিয়ে রাজ্যের অবস্থান অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে নবান্নও।
এনপিআর-এর সব কাজ রাজ্যে যে স্থগিত রাখা হচ্ছে, তার নির্দেশিকা গত ১৬ ডিসেম্বর জারি করে নবান্ন। তাতে বলা হয়েছিল, রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র ছাড়া এনপিআর-এর কোনও কাজ শুরু করা যাবে না। কিন্তু গত ৭ জানুয়ারি কামারহাটি এবং ৮ জানুয়ারি টিটাগড় পুরসভা তাদের এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে চিঠি দিয়ে ২০২১ সালের জনগণনা এবং ২০২০ সালের এনপিআর-এর জন্য শিক্ষক এবং শিক্ষা-কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠায়। নবান্নের নির্দেশের প্রায় তিন সপ্তাহ বাদে কী ভাবে দুই পুরসভা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে চিঠি পাঠাল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
দুই পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের ‘ভুলের’ কারণেই এই বিপত্তি। কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘শ’য়ে শ’য়ে কাগজ আসে। ৭ জানুয়ারি সই করেছি। ৮ তারিখ বিষয়টা আমার নজরে আসে। ওই দিনই সেটি বাতিল করে পাল্টা নির্দেশিকা জারি করেছি।’’ টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা সংশোধন করছি।’’
আরও পড়ুন: মোদীকে বলেছি সিএএ ফেরান, বললেন মমতা
উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এনপিআর বন্ধ করার নির্দেশিকা পুরসভাগুলিতে গিয়েছিল। কিন্তু তা চোখ এড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে। এখন নির্দেশিকা বাতিলের পাশাপাশি যাঁরা এটা করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ কামারহাটি পুরসভার চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। টিটাগড়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy