বামেদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের দু’দিন কর্মচারীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক, নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু, তা না মেনে দু’দিনই গরহাজির থাকায় তিন শিক্ষককে শো-কজ করলেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজ সূত্রে জানা যায়, ৮ ও ৯ জানুয়ারি ধর্মঘটের দিন আসেননি ইংরেজি বিভাগের প্রধান অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক সৈয়দ আবুল কাদের ও প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক তপোময় ঘোষ। আবুল কাদেরকে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে যোগ দিতেও দেখা গিয়েছিল। ১০ জানুয়ারি তাঁদের কারণ দর্শানোর চিঠি ধরান কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন, ‘‘প্রশাসনের নির্দেশিকা অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ধর্মঘটের দিন ছুটি নিলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরানো হবে। উপযুক্ত জবাব দিতে না পারলে অনুপস্থিতির দিনটির বেতন কাটা যাবে ও কর্মজীবন থেকে তা ছেদ (ডায়েস নন) করা হবে। কাটোয়ার তিন শিক্ষকের অবশ্য দাবি, ধর্মঘট গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই তাতে শামিল হয়ে তাঁরা কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করেননি।
অনিন্দ্যবাবু পশ্চিমবঙ্গ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ওয়েবকুটা) সদস্য। তিনি বলেন, ‘‘সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে জবাব দেব।’’
কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রশাসন আগেই জানিয়েছিল, অনুপস্থিত থাকলে শো-কজ করা হবে। পদক্ষেপ করে ঠিকই করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিকের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘এ সব শো-কজের চিঠি ধরিয়ে ধর্মঘট আটকানো যায় না। ওই শিক্ষকদের বড় জোর দু’দিনের বেতন কাটা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy