তখন তিনি মেদিনীপুরের সাংসদ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও।—ফাইল চিত্র।
মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের জন্ম শতবর্ষ পালন করতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সিপিআই। এক সময়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন ইন্দ্রজিৎ। খড়্গপুরে দু’দিন ধরে নানা কর্মসূচি হবে। ইতিমধ্যে ওই কর্মসূচির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
সিপিআই সূত্রের খবর, কর্মসূচি রূপায়ণে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বিপ্লব ভট্ট। বিপ্লব সিপিআইয়ের শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসি’র জেলা সম্পাদক। কমিটির সভাপতি হয়েছেন সন্তোষ রাণা। সন্তোষ দলের জাতীয় পরিষদের সদস্য। দলের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক। বিপ্লব বলেন, ‘‘ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের জন্ম শতবর্ষ পালন উপলক্ষে খড়্গপুরে দু’দিন ধরে নানা কর্মসূচি হবে। প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’’ সিপিআই সূত্রের খবর, আগামী ১৬ নভেম্বর এই কর্মসূচির সূচনা হবে। ওই দিন দৌড় প্রতিযোগিতা, রক্তদান শিবির, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। ১৭ নভেম্বর একটি আলোচনাসভা হবে। সভায় থাকবেন সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। থাকবেন দলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী প্রমুখ। থাকার কথা চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারেরও। খড়্গপুর টাউন হলে এই আলোচনাসভা হবে।
এর আগে দলের উদ্যোগে কলকাতায় ইন্দ্রজিতের জন্ম শতবর্ষ পালন হয়েছে। এ বার জেলার খড়্গপুরে ওই কর্মসূচি হবে। ১৯১৯ সালের ১৮ মার্চ কলকাতায় জন্ম ইন্দ্রজিতের। কেমব্রিজের কিংস কলেজে অর্থনীতি ও ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বিলেতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রজনীপাম দত্তের কাছে জ্যোতি বসু, ভূপেশ গুপ্ত, রেণু চক্রবর্তী, নিখিল চক্রবর্তীদের সঙ্গে ইন্দ্রজিৎ-ও মার্কসবাদের পাঠ নিয়েছিলেন। ১৯৪০ সালে দেশে ফিরে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন। ১১ বার সাংসদ হয়েছেন। লোকসভার ইতিহাসে তিনি সবচেয়ে বেশি বারের সাংসদ। ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মেদিনীপুরের সাংসদ ছিলেন। তিনবার প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন। ১৯৯২ সালে শ্রেষ্ঠ সাংসদ হিসেবে সম্মানিত হয়েছিলেন। সন্তোষ বলেন, ‘‘ইন্দ্রজিৎ গুপ্তের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সভায় আলোচনা হবে।’’ দলীয় সূত্রে খবর, এই কর্মসূচিতে কংগ্রেসকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আরও পড়ুন: শিবসেনা-এনসিপি জোট প্রায় নিশ্চিত, কংগ্রেসের হাতেই মহারাষ্ট্রের ভাগ্য
আরও পড়ুন: ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফের পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তেজনা জেএনইউ ক্যাম্পাসে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy