ছবি: সংগৃহীত।
বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে কলকাতা নাইট রাইডার্স বা কেকেআরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করা হয়েছে। তবে আইনজীবী শিবিরের বক্তব্য, এর ফলে নাইটদের খেলার উপরে তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপের কোনও প্রভাব পড়বে না। খেলা যেমন চলছে, তেমনই চলবে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সম্প্রতি কেকেআরের ব্যাঙ্ক আমানত বাজেয়াপ্ত করেছে। আইনজীবীদের মতে, রোজ ভ্যালির কাছ থেকে কেকেআর যে-টাকা পেয়েছিল, সেটা ফেরত পেলেই ইডি আপাতত সন্তুষ্ট। এই টাকা লেনদেনের মধ্যে কোনও অনিয়ম বা অপরাধ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার কথা সিবিআইয়ের। যদিও সিবিআই আপাতত কেকেআর নিয়ে তেমন উৎসাহী নয় বলেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে কেকেআরের সঙ্গে চুক্তি হয় রোজ ভ্যালির। সেই চুক্তি অনুযায়ী কেকেআর-কে ১১.৮৭ কোটি টাকা দিয়েছিলেন রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু। তার বদলে ২০১২ এবং ২০১৩— এই দু’বছর ওই অর্থ লগ্নি সংস্থার লোগো ব্যবহার করেন কেকেআরের খেলোয়াড়েরা। গৌতম ২০১৪ সালে গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁদের পুরনো অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে এই টাকার হদিস পায় ইডি।
আরও পড়ুন: জনগণনা কবে, ধোঁয়াশা বাড়ছে জেলা প্রশাসনে
রোজ ভ্যালির আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী জানান, এর আগে মিঠুন চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী শতাব্দী রায় রোজ ভ্যালি থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন। কেকেআরের ক্ষেত্রেও ইডি সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করল। ইডি সূত্রের খবর, শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরী খান এবং কেকেআর-কর্তা জয় মেহতার নামে যে-অ্যাকাউন্ট আছে, তাতে আছে ১৬.২ কোটি টাকা। সেটিকেই ‘ফ্রিজ’ করেছে ইডি।
কেকেআরের তরফে জানানো হয়েছে, ওই স্পনসরটুকু ছাড়া রোজ ভ্যালির সঙ্গে তাদের আর কোনও ধরনের সংস্রব ছিল না। গত জুলাইয়ে ইডি-র তরফে নাইট রাইডার্স স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তখন থেকে কেকেআরের তরফে তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy