কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ফাইল চিত্র
পঞ্চায়েত আইনে এই পদের সংস্থান না থাকলেও একের পর এক জেলায় সভাধিপতি এবং সহকারী সভাধিপতির মাথায় এক জন করে মেন্টর ও ডেপুটি মেন্টর বসানো শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
এর আগে আইনি সংস্থানের বাইরে পরিষদীয় সচিব নিয়োগ করেছিল তৃণমূল সরকার। আদালতের রায়ে সেই পরিষদীয় সচিবদের পদটি হারাতে হয়েছিল। এ বার এই মেন্টর এবং ডেপুটি মেন্টরদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মালদহ জেলা পরিষদের মেন্টর করা হয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে। ডেপুটি মেন্টর হয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব দিব্যেন্দু দাস গত ১৬ জানুয়ারি মালদহের জেলা শাসক তথা জেলা পরিষদের এগ্জিকিউটিভ অফিসারকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার জেলা পরিষদের মেন্টরের দায়িত্ব নিয়েছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই পদে নির্বাচিত করেছেন। জেলা পরিষদের টাকা ঠিক মতো মানুষের জন্য খরচ হচ্ছে কি না, তা দেখা হবে। সমন্বয় রেখে কাজ করব। আমি অভিভাবক নই। সকলের সঙ্গে মিলেই কাজ করা হবে।’’
পঞ্চায়েতে নির্বাচিত প্রতিনিধিনিদের কেন এই মেন্টররা নিয়ন্ত্রণ করবেন, তা নিয়ে তৃণমূলে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। এই নিয়োগ নিয়ে বিধানসভায় কোনও বিল পাশ হয়নি। জেলা স্তরে কোনও পদ বা দায়িত্বে নেই এমন নেতাদের ‘পুনর্বাসন’-এর ব্যবস্থা করতেই মেন্টর এবং ডেপুটি মেন্টর নিয়োগ করা হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। মেন্টরদের মাসিক ১০ হাজার এবং ডেপুটি মেন্টরদের পাঁচ হাজার টাকা, জেলা পরিষদের দফতরে আলাদা ঘর এবং গাড়ি বরাদ্দ থাকছে তাঁদের জন্য। জেলা পরিষদের উন্নয়নমূলক কাজ পর্যালোচনা করা, কাজের সমন্বয় সাধন এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের পরামর্শ দেওয়াই এই মেন্টরদের মূল দায়িত্ব। যদিও সরকারের তরফে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘জেলা পরিষদের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের সরকার মেন্টরের দায়িত্ব দিয়ে কাজে লাগাতে চায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy