—ফাইল চিত্র।
দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার দেড় মাসের মধ্যেই বাংলায় আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী। তাঁর পরিবর্তে নতুন রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বালুরঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরী। বয়সে ক্ষিতিবাবুর চেয়ে বিশ্বনাথবাবু কয়েক বছরের ছোট হলেও রাজনীতিতে তাঁরা প্রায় একই প্রজন্মের প্রতিনিধি। দলের অস্তিত্বই যখন প্রায় সঙ্কটে, তখন তরুণ কোনও মুখকে সামনে আনার চেষ্টা কেন হল না, সেই প্রশ্ন উঠছে বাম মহলেই।
দিল্লিতে ডিসেম্বরের গোড়ায় আরএসপি-র সর্বভারতীয় সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ক্ষিতিবাবু। ঠিক হয়েছিল, লোকসভা ভোট পর্যন্ত দুই দায়িত্বই তিনি একসঙ্গে সামলাবেন। তার পরে কোনও একটি পদ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু একসঙ্গে দুই পদ বাম রাজনীতিতে খুব ভাল বার্তা দেয় কি না, এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল দলের অন্দরেই। শেষ পর্যন্ত সোমবার দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে রাজ্য সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন ক্ষিতিবাবু। সর্বসম্মত ভাবে নতুন রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন বিশ্বনাথবাবু। পরে ক্ষিতিবাবু বলেন, ‘‘দু’টো পদ একসঙ্গে সামলানো কঠিন কাজ। বয়সও হয়েছে। একটা পদ ছেড়ে দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। লোকসভা ভোটের আগে একটা দায়িত্বেই এখন মন দিতে পারব।’’
নতুন দায়িত্ব পেয়ে বিশ্বনাথবাবু জানিয়েছেন, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশই এখন তাঁদের সামনে সাংগঠনিক লক্ষ্য। ব্রিগে়ডের পরের দিন, ৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্য কমিটির পরবর্তী বৈঠক ডাকা হয়েছে। লোকসভা ভোটে রাজ্যে অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য কী করণীয়, তা নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে। বিধানসভার কাজে কলকাতায় যাতায়াত করতেই হয় বিশ্বনাথবাবুকে। সেই ফাঁকেই তিনি দলের রাজ্য দফতরে দায়িত্ব সামলাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy