Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
Flash Flood

হড়পা বানে ভাসল উত্তরবঙ্গের তিন ব্লক, তলিয়ে গেল ডাম্পার, দেখুন ভিডিয়ো

জল ঢুকে যায় ধূপগুড়ি ব্লকের বানারহাট হাসপাতাল, থানা এবং সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায়। ভুটান থেকে নামা নদী ছাড়াও ওই বৃষ্টির জল প্রবল বেগে নামতে শুরু করে হাতি নালা নামে একটি ঝোরার পথ ধরে। সেই জলেই প্লাবিত হয়েছে বানারহাট।

ভেসে যাচ্ছে ডাম্পার।—নিজস্ব চিত্র।

ভেসে যাচ্ছে ডাম্পার।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:২১
Share: Save:

রবিবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ডুয়ার্স এবং সংলগ্ন ভুটানের পাহাড়ি এলাকায় লাগাতার বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল জলপাইগুড়ির তিনটি ব্লকে।

ভুটানের পাহাড় থেকে জল নামতে থাকে ডুয়ার্সে। ভুটান থেকে আসা ডায়ানা, চামুর্চির মতো নদীগুলোতে জল বাড়তে থাকে। সেই জলে প্লাবিত হয় নাগরাকাটা, মাদারিহাট এবং ধূপগুড়ি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা।

জল ঢুকে যায় ধূপগুড়ি ব্লকের বানারহাট হাসপাতাল, থানা এবং সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায়। ভুটান থেকে নামা নদী ছাড়াও ওই বৃষ্টির জল প্রবল বেগে নামতে শুরু করে হাতি নালা নামে একটি ঝোরার পথ ধরে। সেই জলেই প্লাবিত হয়েছে বানারহাট। অন্য দিকে, মাদারিহাট ব্লকের একাধিক জায়গা জলের তলায় চলে যায়। জল উঠে আসে ভারত-ভুটান সড়ক এবং ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের কিছু জায়গায়।

আরও পড়ুন: আজও বাতিল অনেক ট্রেন, অবরোধ উঠলেও পুরো স্বাভাবিক নয় দক্ষিণ-পূর্ব রেল

প্লাবিত হয়েছে বিন্নাগুড়িরও বহু এলাকা। বানারহাট হাসপাতালের কর্মী শুভ্রা সাহা বলেন, “রাত থেকেই জল ঢুকতে শুরু করে। কোয়াটার্সে আগেই জল ঢুকেছে। তার পর হাসপাতালে।” অন্য এক হাসপাতাল কর্মী নম্রতা দাহাল বলেন, “কোয়াটার্স জলের তলায়। জামাকাপড়, খাবারদাবার সমস্ত নষ্ট হয়েছে। এখন আমরা হাসপাতালের ইন্ডোরে আশ্রয় নিয়েছি। রোগীরাও চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।” স্থানীয় বাসিন্দা অজয় সাউ বলেন, “বানারহাট বাজার, হাসপাতাল, সুভাষনগর, শান্তিপল্লি— সব জলের তলায়। হাতি নালার জলেই ভাসছে গোটা এলাকা।”

আরও পড়ুন: আট বছর পর ‘অপহৃত’ এমসিএ পড়ুয়ার হদিশ পেতে ফের তদন্ত শুরু

তিনটি ব্লকের প্রায় ১৫টি চা-বাগান এই হড়পা বানে জলমগ্ন। এ বছর চতুর্থ বার হড়পা বানে জলমগ্ন হল এই গোটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা হাতি নালা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন। কিন্তু বার বার প্রশাসন আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সেই সংস্কারের কাজ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন দত্ত বলেন, “এই হাতি নালাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে এলাকায়।”

রাস্তার উপর দিয়ে জল বইছে।—নিজস্ব চিত্র।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ধূপগুড়ির বিডিও রবিপ্রসাদ মিনা। তিনি বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে জল জমে যাওয়ায় আটকে পড়েছেন অনেক রোগী। তবে মঙ্গলবার সকালের পর বৃষ্টি না হওয়ায় জল আর বাড়েনি। পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE