বেশি বয়সে ডিভোর্সের প্রবণতা নতুন নয়। ২০ বছর আগের একটা কেস। ষাটোর্ধ্ব এক ভদ্রলোক ডিভোর্স চেয়েছিলেন। নানা বাড়িওয়ালার সঙ্গে স্ত্রীর অশান্তির জেরে কয়েকটা বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সাড়ে তিন বছর কেস চলার পর ডিভোর্স হয়। বেশি বয়সে ডিভোর্সের কারণ অনেক। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে অশান্তি। অবিবাহিত দেওর, ননদ নিয়ে মনান্তর। স্বামীর সঞ্চয় যদি যথেষ্ট না থাকে, স্ত্রী নিরাপত্তার অভাবে ভোগেন। ‘আমার কিছু হলে কে দেখবে,’ এই দুশ্চিন্তা থেকে ডিভোর্স চান। মনে করেন, অ্যালিমনির টাকাটা হবে শেষ জীবনের সম্বল। স্বামীর উপর চাপ তৈরি করতে স্ত্রী ডিভোর্সের মামলা করেছেন, এমনও ঘটে। দুই পুত্রবধূর মধ্যে ঝগড়া, মা চান সবই ছোট ছেলেকে দিতে হবে। বাবা বড় ছেলেকে বঞ্চিত করতে রাজি নন। স্ত্রী ডিভোর্সের মামলার হুমকি দেন। দুই ছেলেকে সম্পত্তি সমান ভাগে উইল করে বিয়ে বাঁচান স্বামী। হিন্দু আইনে সম্পর্ক ভেঙে পড়ার কারণে ডিভোর্স স্বীকৃত নয়। মানসিক, শারীরিক, সামাজিক বা আর্থিক নিষ্ঠুরতা ডিভোর্সের জোরালো কারণ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কও অন্যতম কারণ।
বিয়ে ভাঙার কথা যাঁরা চিন্তা করছেন, তাঁদের কয়েকটা পরামর্শ। এক, সাইকোলজিস্টের কাছে কাউন্সেলিং করান। দুই, খবর, টিভি সিরিয়াল বা পড়শির থেকে অন্যদের সম্পর্কে যা জানবেন, তাতে প্রভাবিত হবেন না। বাইরের ঘটনার টানাপড়েনে জড়িয়ে পড়বেন না। তিন, রিটায়ার করার সময়টা স্পর্শকাতর। তখন লাইফস্টাইল বদলে যায়, খরচে লাগাম টানতে হয়। মনোমালিন্য শুরু হয়। তখন শান্ত ভাবে দু’পক্ষকেই চিন্তা করতে হবে। আর শেষ কথা, উকিলের পরামর্শ নেবেন, কিন্তু নিজেরাই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy