প্রতীকী ছবি।
একেবারে যে উঠে গেল, তা নয়। আপাতত স্থগিত হল আইনজীবীদের কর্মবিরতি। বিচারপ্রার্থীদের পক্ষে স্বস্তির কথা, প্রায় ৩০ দিন পরে আজ, শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে কাজে যোগ দিচ্ছেন আইনজীবীরা।
শুক্রবার রাজ্য বার কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত রাখা হবে। হাওড়া আদালতে আইনজীবীদের উপরে পুলিশের লাঠি চালানোর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কী পদক্ষেপ করে, তা দেখে নিয়ে ২ সেপ্টেম্বর কর্মবিরতির ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২৪ এপ্রিল হাওড়া পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে হাওড়া আদালতের আইনজীবীদের সংঘর্ষের পরে পুলিশ লাঠি চালায়। সেই ঘটনা নিয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করেছে। আইনজীবী-নিগ্রহের তদন্ত করার জন্য বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চ ২২ মে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গড়ে দিয়েছে। কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্তকে। কমিশন তদন্ত করে দেখবে হাওড়া আদালতের ঘটনায় পুলিশ ও হাওড়া পুরসভার কর্মীদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল। ভূমিকা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় সুপারিশও করবে তারা। ২৬ অগস্ট ডিভিশন বেঞ্চে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।
বার কাউন্সিলের একটি সূত্র জানায়, ২৬ অগস্ট কমিশনের রিপোর্ট ও সুপারিশের ভিত্তিতে ডিভিশন বেঞ্চ কী নির্দেশ দেয়, তা দেখে ২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনজীবীদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। ওই আইনজীবীদের অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না-করে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাউন্সিল। অসন্তোষের জেরে এ দিন এক শ্রেণির আইনজীবীদের হাতে নিগৃহীত হন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অশোক দেব। তাঁর জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য তথা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উত্তম মজুমদার জানান, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ জানার পরে রাজ্যের আইনজীবীদের শীর্ষ সংগঠন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে। তার পরে কাউন্সিলের কর্মকর্তারা একমত হয়ে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মালদহ, আলিপুর, কোচবিহার-সহ প্রায় সব জেলার বার অ্যাসোসিয়েশন এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। ‘‘এর পরেও আইনজীবীদের একাংশ সেই সিদ্ধান্ত না-মানলে সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার,’’ বলেন উত্তমবাবু।
কাউন্সিলের ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান প্রসূন দত্তের প্রশ্ন, সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে আলাদা করে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নাকি? নির্বাচিত কার্যকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে প্রত্যেক সদস্যকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy