প্রতীকী ছবি।
দাড়িভিটের ‘বিপদ’ এড়াতে এ বার প্রায় ৫০০ জন শিক্ষককে নতুন করে নিয়োগপত্র দিতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। একাদশ-দ্বাদশ স্তরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক কর্তা শুক্রবার জানান, যে সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ হয়েছিল তার মধ্যে প্রায় ৫০০টি শূন্যপদে ত্রুটি ধরা পড়েছে। কোনও স্কুলে শূন্যপদ না থাকা সত্ত্বেও সেখানে যেমন শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, তেমনই কোথাও আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠেছিল। তার জেরে গোলমালে জড়িয়ে স্থানীয় দু’জনের মৃত্যু হয়। দাড়িভিট থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে সমস্ত স্কুলে শূন্যপদের তালিকা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিল বিকাশ ভবন। তাতেই এই গরমিল ধরা পড়ে।
নিয়ম অনুযায়ী, স্কুল থেকে শূন্যপদের তালিকা পৌঁছয় সংশ্লিষ্ট ডিআইদের কাছে। পুরো তালিকা খতিয়ে দেখে ‘প্রায়র পারমিশন’ বা পিপি দেন ডিআই’রা। তা পাঠানো হয় স্কুলশিক্ষা কমিশনারের দফতরে। সেখান থেকে শূন্যপদের তালিকা পৌঁছয় স্কুল সার্ভিস কমিশনে। কমিশন এর পর শূন্যপদের তালিকা তৈরি করে প্রার্থী নির্বাচন করে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই ৫০০ জন শিক্ষক ইতিমধ্যে নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছেন। তাঁদেরকে ফের নতুন করে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কালীপুজোর পরেই শুরু হবে প্রক্রিয়া। সঠিক সময়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে এর জন্য শুধু স্কুলের পরিবর্তন হবে, বাকি সবই অপরিবর্তিত থাকবে।’’
অন্য দিকে নবম-দশম স্তরেও শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং শেষ হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব মধ্যশিক্ষা পর্ষদেও চলে গিয়েছে। শূন্যপদের তালিকা যাচাই করার কারণে প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারপার্সন শর্মিলা মিত্র বলেন, ‘‘যাঁরা নিয়োগপত্র বা নিয়োগের প্রস্তাব পেয়ে গিয়েছেন সকলেরই চাকরি হবে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। শূন্যপদে কিছু ত্রুটি থাকলেও পরিবর্তে অন্য স্কুলে নিয়োগ হবে। নবম-দশম স্তরেও দ্রুত নিয়োগ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy