শ্রীরামপুরে মিছিলে বাম ও কংগ্রেস নেতারা।—নিজস্ব চিত্র।
রাজধানী শহরের পাশাপাশি জেলায় জেলায় যৌথ কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে রবিবার হুগলির শ্রীরামপুরে যৌথ মিছিলে শামিল হলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খানেরা। এক দিনের নোটিসে মিছিলে যা সাড়া পাওয়া গিয়েছে, তাতে উৎসাহিত জোট শিবিরের নেতারা। কলকাতায় আবার কাল, মঙ্গলবারই একসঙ্গে পথে নামার ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
পেট্রল ও ডিজেলের ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধি, বেসরকারি হাতে ট্রেন দেওয়া, কয়লা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে ঢালাও বেসরকারিকরণ-সহ নানা নীতিগত প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকার এবং আমপান-এর ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরোধিতায় এ দিনের মিছিলের ডাক দিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। লকডাউনে বিপন্ন শ্রমজীবী পরিবারপিছু ৭৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের দাবিও তুলেছে তারা। মিছিলে যোগ দিয়ে মান্নান, সুজনবাবুরা অভিযোগ করেন, লকডাউন ও আনলক-পর্বে কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের ‘ব্যর্থতা’ প্রকট। বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব মানুষের সমর্থন এক জায়গায় আনার ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এর আগে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে একসঙ্গে রাস্তায় নেমেছিলেন মান্নান-সুজনেরা।
সাম্প্রতিক বিষয়গুলিকে সামনে রেখে এবং তৃণমূল ও বিজেপি-বিরোধী ভোটকে একত্র করার লক্ষ্যেই এখন পরপর যৌথ কর্মসূচি নেবে জোট শিবির। কলকাতায় হো চি মিন মূর্তির কাছে কাল, মঙ্গলবার রয়েছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের যৌথ প্রতিবাদ। ওই দিনের কর্মসূচি যাতে একেবারে ব্লক স্তর পর্যন্ত যৌথ ভাবে হয়, তার জন্য তৎপর হয়েছেন দু’পক্ষের রাজ্য নেতৃত্ব। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন পরবর্তী স্তরের নেতৃত্বকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy