বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তৃতা দিচ্ছেন পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।—নিজস্ব চিত্র।
মেলেনি পুলিশি অনুমতি। বরং ব্রিজ মেরামতির দোহাই দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি করতে বারণ করেছিল পুলিশ। সেই নির্দেশ অমান্য করেই শুক্রবার স্বরূপনগরে যৌথ বিক্ষোভ সমাবেশ করল বাম-কংগ্রেস।
সিএএ বিরোধিতা, স্থানীয় পুলিশি অত্যাচার-সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে স্বরূপনগর ব্লকে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেস ও সিপিএমের তরফ থেকে। সিপিএমের দাবি, পুলিশ শুরু থেকেই নানা ওজর-আপত্তি তুলছিল এই সভার বিষয়ে| অবশেষে সভার কয়েক দিন আগে স্বরূপনগর থানার তরফ থেকে সিপিএম ও কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্বকে জানানো হয়, তেঁতুলিয়া ব্রিজে সংস্কারের কারণে ৩১ জানুয়ারি রাস্তা বন্ধ থাকবে। তাই এই কর্মসূচি বাতিল করতে হবে।
শুক্রবার সেই নির্দেশ অমান্য করেই মালঙ্গপাড়া স্কুলমাঠে সভা করল সিপিএম ও কংগ্রেস। তেঁতুলিয়ার রাস্তা বন্ধ থাকায় বসিরহাট হয়ে স্বরূপনগরে ঢোকেন সিপিএম ও কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা| কেউ কেউ আবার তেঁতুলিয়া এড়িয়ে চারঘাট হয়ে মালঙ্গপাড়া পৌঁছন| সিপিএমের তরফে পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম, উত্তর দমদমের বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য, দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাস, উত্তর চব্বিশ জেলা কমিটির সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের তরফে আমতার বিধায়ক অসিত মিত্র , বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আবদুর রহিমরা হাজির ছিলেন| সভা শেষে তন্ময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল থানায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়| সে সময় অবশ্য থানায় ওসি তুষার বিশ্বাস ছিলেন না।
ব্রিজ সংস্কারের বিজ্ঞপ্তি।—নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় সিপিএম নেতা দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচি ভেস্তে দেওয়ার জন্যেই ব্রিজ সংস্কারের দোহাই দেওয়া হয়েছিল, তা প্রমাণ হয়ে গেল। কারণ আজকে আমাদের কর্মসূচি শেষ হতেই ব্রিজ খুলে দেওয়া হয়।’’
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে ৩ বারের বিধায়ক! তৃণমূল নেতার বৈভবহীন জীবনে মুগ্ধ বারুইপুর
আরও পড়ুন: জলঙ্গিতে মৃতদেহ আঁকড়ে রাস্তায় বসল মানুষ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy