প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপত্রের শারদ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ।—নিজস্ব চিত্র।
বাংলার মন পেতে বাঙালি সংস্কৃতি জগতের কাছাকাছি পৌঁছনোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের পত্র-পত্রিকার উৎসব সংখ্যার সঙ্গে বাঙালি লেখক, শিল্পী ও বিশিষ্টদের জড়িয়ে নিতে তৎপর হল বাম ও কংগ্রেস। যে উদ্যোগ এক বাম নেতার কথায়, ‘‘সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ ও আন্দোলনেরই অঙ্গ।’’
সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের মুখপত্রের পুজো সংখ্যার উদ্বোধন করেছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের শরৎ সংখ্যার উদ্বোধন হয়েছে বাচিক শিল্পী ঊর্মিমালা বসুর হাতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি-র অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে গোলমালের ঘটনার পরে মুখ খুলে সামাজিক মাধ্যমে গেরুয়া বাহিনীর আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন ঊর্মিমালাদেবী। তার পরে তাঁকে দিয়ে যুব সংগঠনের পুজো-পত্রিকার উদ্বোধনের আয়োজন নির্দিষ্ট বার্তা দেওয়ার লক্ষ্যেই।
প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপত্রের শারদ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়েছে বৃহস্পতিবার। উদ্বোধন করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, প্রদেশ সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্যই। তবে সোমেনবাবুও বলেছেন, ‘‘শুধু আমাদের দলীয় নেতাদের লেখাই এই সংখ্যায় রাখা হয়নি। বহুত্ববাদ ও বৈচিত্র্যের কথা মনে রেখে অনেকেই আমাদের পত্রিকার জন্য কলম ধরেছেন।’’ ওই শারদ সংখ্যার জন্য গল্প লিখেছেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, প্রবন্ধ লিখেছেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। প্রয়াত নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির একটি পুরনো লেখাও পরিস্থিতির প্রয়োজনে ফের প্রকাশ করা হয়েছে। আবার সিপিএমের মুখপত্রের শরৎ সংখ্যায় কলম ধরেছেন অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টেরা। পিডিএসের পত্রিকার উৎসব সংখ্যা প্রকাশ হয়েছে কবি শঙ্খ ঘোষের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy