প্রতীকী ছবি।
মহারাষ্ট্রে নাসিক থেকে পায়ে হেঁটে এসে রাতভর মুম্বইয়ের রাস্তা পেরিয়েছিলেন কৃষকেরা। কিন্তু কলকাতায় পুজোর মুখে সেই রাস্তায় হাঁটছে না বামেরা। জেলায় জেলায় পদযাত্রার শেষে গণসংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-র ডাকে বরং সমাবেশ হচ্ছে শহিদ মিনার ময়দানে। তবে একই দিনে বামেদের কর্মসূচি এবং সংখ্যালঘু সংগঠনের জমায়েত নিয়ে পুলিশি অনুমতির জটিলতা দেখা দিয়েছে।
প্রথমে ঠিক ছিল চার দিক থেকে চারটি বড় মিছিল এনে শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় কাল, বুধবার জমায়েত করবে বিপিএমও। সেই দিনই রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। তবে একই দিনে জোড়া কর্মসূচির জেরে ধর্মতলা-সহ মধ্য কলকাতা স্তব্ধ হয়ে পড়া অবধারিত ছিল! কিন্তু পুলিশের তরফে সোমবার সন্ধ্যায় বামেদের জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা শহিদ মিনারে সমাবেশ করতে পারে। আবার সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনকে জানানো হয়, তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ওই সংগঠনের নেতা মহম্মদ কামারুজ্জামান অবশ্য জানিয়েছেন, সব রকম প্রস্তুতির পরে এখন পিছিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাঁরা রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়েই কাল জড়ো হবেন।
বিপিএমও-র উদ্যোগে কৃষক, শ্রমিক ও নানা অংশের মানুষের ১৫ দফা দাবি নিয়ে ‘অধিকার যাত্রা’ আজ, মঙ্গলবারই জেলায় জেলায় শেষ হবে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার কেন্দ্রীয় পদযাত্রীদের একাংশ আসবেন বুধবারের সমাবেশে। কলকাতার নানা ওয়ার্ডেও চলছে পদযাত্রা। তাঁরাও যোগ দেবেন শহিদ মিনার ময়দানে। কাকদ্বীপ থেকে আসা দক্ষিণ ২৪ পরগনার পদযাত্রা অবশ্য কাল সকালে সুকান্ত সেতু থেকে শেষ পর্বের মিছিল শুরু করে ধর্মতলার দিকে আসতে পারে। কেন্দ্রীয় পদযাত্রা ছাড়াও নানা জেলায় অংসখ্য উপ-পদযাত্রা হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন বিষয়কে সংযুক্ত করে।
আগের দু’বার পদযাত্রা করেও সাংগঠনিক ভাবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি বামেরা। এ বারের ‘অধিকার যাত্রা’য় তারা অবশ্য তুলনায় উৎসাহিত। বিপিএমও-র আহ্বায়ক এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্যামল চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘প্রাথমিক ভাবে যা দেখা গিয়েছে, সন্ত্রাস এবং অন্যান্য কারণে যে সব জায়গায় আমরা আগে যেতে পারিনি, এ বার তার মধ্যে অনেক অ়ঞ্চলেই পদযাত্রা হয়েছে।’’ সমাবেশে শ্যামলবাবু ছাড়াও বিভিন্ন গণসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নেতারা বক্তৃতা করবেন। কৃষক সভার সূত্রে থাকবেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সভাপতিমণ্ডলী হিসেবে মঞ্চে আমন্ত্রণ করা হয়েছে প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, নাট্যকার চন্দন সেন-সহ বেশ কিছু বিশিষ্ট জনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy