Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
CPM

ভিয়েতনাম-স্মৃতি উস্কে অবস্থানে বিমানেরা

করোনা ও লকডাউনের মধ্যে বিপন্ন বিভিন্ন অংশের মানুষের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজ্য জুড়েই মৌনী অবস্থানে নেমেছিল বামেরা।

হো চি মিন মুর্তি চত্বরে অবস্থানে বিমান বসু ও অন্য বাম নেতারা।—নিজস্ব চিত্র।

হো চি মিন মুর্তি চত্বরে অবস্থানে বিমান বসু ও অন্য বাম নেতারা।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২০ ০৫:০৯
Share: Save:

করোনা আবহে ভিয়েতনামের স্মৃতি আবার জাগিয়ে তুলল সিপিএম! সাতের দশকে আমেরিকার সঙ্গে ছোট্ট ওই দেশের যুদ্ধের সময়ে বামেদের স্লোগান ছিল ‘তোমার নাম, আমার নাম, ভিয়েতনাম’। সে ছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা নেওয়ার ডাক। এখন সম্পূর্ণ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে লড়াই করোনার সঙ্গে। এবং বিশ্ব জুড়ে করোনায় মৃত্যু-মিছিল চললেও চিন-ঘেঁষা ভিয়েতনামে এখনও পর্যন্ত ওই রোগে কোনও মৃত্যু নেই। আর ৩০ এপ্রিল সেই ভিয়েতনামের মুক্তি দিবস। এই অনুষঙ্গেই ভিয়েতনামের স্মৃতি উস্কে কলকাতায় হো চি মিন মূর্তির চত্বরে মৌনী অবস্থানে শামিল হলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা।

করোনা ও লকডাউনের মধ্যে বিপন্ন বিভিন্ন অংশের মানুষের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজ্য জুড়েই মৌনী অবস্থানে নেমেছিল বামেরা। কলকাতায় ৯ দফা দাবি নিয়ে বামপন্থী ও সহযোগী মিলে ১৬টি দলের সংক্ষিপ্ত অবস্থান কর্মসূচির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল হো চি মিন মূর্তির চত্বর। ছিলেন মনোজ ভট্টাচার্য, স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন চট্টোপাধ্যায়, সমীর পূততুণ্ড, বাসুদেব বসুরাও। তবে এ বার পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়নি। তাঁদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে যে বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা। বিমানবাবু বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার শুধু শ্রমিকদের ফেরানোর নির্দেশিকা দিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলেছে। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে হাত মিলিয়ে শ্রমিকদের ফেরাতে হবে।’’

শ্রমিক, রোগী, পড়ুয়া-সহ এ রাজ্যের যে সব মানুষ বাইরে আটকে আছেন, তাঁদের ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজনবাবু। একই আর্জি জানিয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতির ফলেই যে এত মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে, তা-ও উল্লেখ করেছেন তাঁরা।

লকডাউনের মধ্যে বড় অংশের মানুষের উপার্জনের রাস্তা প্রায় বন্ধ। এই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে মাসিক ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিল তিন মাসের জন্য মকুব করার আর্জি জানিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মান্নান ও সুজনবাবু। বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেনবাবুও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, চটকল ও চা-শ্রমিকদের বেতন মিটিয়ে দেওয়ার বিষয়টি এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। পাশাপাশিই তাঁর আর্জি, রমজান মাসে রেশনের মাধ্যমেই বাড়তি চিনি, সুজি, ছোলা ও ময়দা দেওয়ার ব্যবস্থা করলে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Vietnam West Bengal Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE