প্রতীকী ছবি।
ব্রিগে়ড সমাবেশের দিন ঠিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই মঞ্চ থেকে বাম সমর্থক জনতার সামনে এক সুরে কি কথা বলতে পারবেন বামফ্রন্টের নেতৃত্ব? নির্বাচনী সমঝোতার প্রশ্নে বাম শরিকদের ভিন্ন অবস্থানই এমন জল্পনার জন্ম দিচ্ছে!
তৃণমূল এবং বিজেপির মোকাবিলায় লোকসভা নির্বাচনের আগে বামেদের ব্রিগে়ড সমাবেশের সম্ভাব্য তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন ব্রিগে়ড ময়দানে সভা করার অনমুতি চেয়ে সেনা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে আলিমুদ্দিন। রাজ্যে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হাত ধরেই লোকসভা ভোটে লড়ার পক্ষপাতী সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু তাতে প্রবল আপত্তি বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের! আরএসপি-ও সম্পূর্ণ সহমত নয় সিপিএমের সঙ্গে। এমতাবস্থায় সব দলই পাঁচ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ফলের দিকে নজর রাখছে।
নির্বাচনী কৌশলের প্রশ্নে তাঁরা যে এক বিন্দুতে নেই, তা মেনে নিয়েও কোনও বাম দলের নেতৃত্বই ব্রিগেড প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন না। ফ ব-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের বক্তব্য, ‘‘আশা করা যায়, ব্রিগে়ড সমাবেশের আগে ছবিটা অনেক স্পষ্ট হয়ে যাবে। এর মধ্যে আমাদের রাজ্য সম্মেলন ও পার্টি কংগ্রেসও হয়ে যাবে।’’ কলকাতায় ১২ থেকে ১৬ ডিসেম্বর যখন ফ ব-র পার্টি কংগ্রেস চলবে, সেই সময়েই ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে বসবে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। তাদের শীতকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক এ বার কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘যে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলিতে এখন ভোট, সেখানে তাদের ফল ভাল হতে পারে বুঝেই কংগ্রেস খানিকটা আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে— এটা ঠিক। তবে চূড়ান্ত ফলাফলের উপরে জাতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতিই নির্ভর করছে। ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমাদেরও ভোটের কৌশল ঠিক করে ফেলতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, পাঁচ রাজ্যের ফল ঘোষণা হবে ১১ ডিসেম্বর।
রাফাল কেলেঙ্কারি এবং সিবিআইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপে’র বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সঙ্গে এক সুরেই প্রতিবাদে নেমেছে সিপিএম। বাম শরিকদের ওই প্রশ্নে সে ভাবে পথে দেখা যায়নি। এ বার ব্রিগেডেও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ করা হবে কি না, পাঁচ রাজ্যের ফলের পরেই বামফ্রন্টে তার ফয়সালা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy