প্রতীকী ছবি।
মুম্বই পেরেছে। দিল্লি পেরেছে। কলকাতা কি পারবে?
বাংলার বামেদের বক্তব্য, মুম্বই এবং দিল্লির আন্দোলনের ব্যাটনই এ বার তুলে নেওয়া হবে এ রাজ্যে। মুম্বইয়ে ‘কিষান লং মার্চ’ এবং দিল্লিতে ‘কৃষক-শ্রমিক সংঘর্ষ সমাবেশে’র সাফল্যের পরে বাংলায় ‘অধিকার যাত্রা’ শুরু করছে বামেরা। মোট ২৪ দিনে প্রায় ৭ লক্ষ মানুষকে জড়ো করে রাজ্যের ৫০ হাজার কিলোমিটার রাস্তা পরিক্রমা করা ওই পদযাত্রার লক্ষ্য। কোচবিহার থেকে আজ, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পদযাত্রার সূচনা করবেন কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক এবং সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা। থাকবেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা শ্যামল চক্রবর্তী। গণসংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ বিপিএমও-র আয়োজনেই হচ্ছে এই পদযাত্রা। যে মঞ্চের আহ্বায়ক শ্যামলবাবু।
এর আগে জাঠা করে যত জায়গায় পৌঁছতে পেরেছিল বামেরা, এ বার লোকসভা ভোটের আগে তার চেয়ে আরও বেশি বুথ স্পর্শ করা তাদের লক্ষ্য। এই কর্মসূচি নিয়ে ভোটের আগে সংগঠনকে রাস্তায় রাখতে চাইছেন শ্যামলবাবুরা। আবার একই সঙ্গে ডিসেম্বরে বিজেপির রথযাত্রার আগে বামেরা গ্রামে-গঞ্জে মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে। একেবারে শাখা স্তর থেকে দলের কর্মীরা যাতে বিপিএমও-র কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, তার জন্য নির্দেশিকা জারি হয়েছে সিপিএমে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, কৃষকদের দুরবস্থা, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির পাশাপাশিই প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িকতার প্রতিবাদ হবে পদযাত্রায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হবেন পদযাত্রায় যোগদানকারী মানুষ। সূর্যবাবুর মতে, ‘‘আমরা অনুকরণ বা অনুসরণ করছি না। অন্য রাজ্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় গণ-আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy