সকলের উপস্থিতেও চিতাবাঘ একটুও নড়ল না রাস্তা থেকে। —নিজস্ব চিত্র।
শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে। পথচলতি মানুষ হঠাৎই থমকে গেলেন। রাস্তার উপর জলজ্যান্ত চিতাবাঘ বসে!
খানিকক্ষণের মধ্যেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় জলপাইগুড়ির বীরপাড়া থেকে ফালাকাটাগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ভিড়। এত ভিড় দেখে চিতাবাঘ রাস্তা ছেড়ে চম্পট দেবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, স্বভাবে চিতাবাঘ খুবই ‘লাজুক’। কিন্তু, সবাইকে অবাক করে দিয়ে সে একটুও নড়ল না রাস্তা থেকে। কখনও বসে, কখনও আবার শুয়ে পড়ছে। মাঝে মাঝে আর্তনাদও করছে।
এর মধ্যেই কিছু অত্যুৎসাহী চিতাবাঘটিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। তাতেও রাস্তা থেকে সরে না সে। এতেই সন্দেহ হয় উপস্থিত জনতার। তাঁরা বন দফতরে খবর দেন। তার মধ্যে বাড়তে থাকে পাথর ছোড়া।
আরও পড়ুন
চিৎকারে ভেস্তে গেল ব্যাঙ্ক ডাকাতি
পাখি গণনার চূড়ান্ত পর্ব আজ ও কাল
দেখুন চিতাবাঘের সেই ভিডিয়ো
কোনও মতে পায়ের পিছনের অংশ টানতে টানতে রাস্তার পাশে একটি চা–বাগানে আশ্রয় নেয় চিতাবাঘটি। তত ক্ষণে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন বন দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরা দেখেই বুঝতে পারেন মেরুদণ্ড বা শরীরের পেছনের অংশে গুরুতর আঘাত পেয়েছে বাঘটি। এক আধিকারিক বলেন, “সম্ভবত কোনও দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছে চিতাবাঘটি।” প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি প্রায় দেড় ঘণ্টা রাস্তার উপর আহত অবস্থায় পড়েছিল সে।
বনকর্মীরা এর পর ঘুম পাড়ানি ইঞ্জেকশন দিয়ে বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করে নিয়ে যান খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন কেন্দ্রে।
(মালদহ, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং সহ উত্তরবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy