বিষমদে মৃতদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরে বিষমদ কাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজা হল খোঁড়া বাদশা-সহ চার মূল অভিযুক্তের। শুক্রবার আলিপুর আদালতের (৬) অতিরিক্ত দায়রা বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী এই সাজা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি দোষীদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও ধার্য করেন বিচারক। নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশা ছাড়া বাকি তিন জন হলেন নজরুল লস্কর, দুখে লস্কর ও গিয়াসুদ্দিন লস্কর। গত কাল, বৃহস্পতিবারই এই চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক পার্থসারথি চক্রবর্তী।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত খুন), ২৭৩ (ইচ্ছাকৃত ভাবে কোনও জিনিসের সংমিশ্রণ ঘটানো) ও পশ্চিমবঙ্গ আবগারি আইনে ওই চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। পাশাপাশি, ঘটনার মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশার বিরুদ্ধে ৩২৬ (ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত), ৩২৮ (ইচ্ছাকৃত ভাবে বিষ খাইয়ে মানুষ মারা) আইনেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২০১১ সাল। বিষাক্ত চোলাই খেয়ে সে বছরের ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট, উস্তি ও মন্দিরবাজারে ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তিনটি থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতের পরিজনদের ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: স্কুল পরিদর্শনে শিক্ষাসচিবকেও নামাচ্ছেন পার্থ
ঘটনার পরই তার তদন্ত শুরু করে পুলিশ-সিআইডি। খোঁড়া বাদশ-সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। মামলায় ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই রায় ঘোষণা করেন বিচারক। তথ্য প্রমাণের অভাবে খোঁড়া বাদশার স্ত্রী সাকিলা বিবি, আয়ুব আলি লস্কর, গিয়াসউদ্দিন লস্কর, খইরুলনেশা বেওয়া, মইউদ্দিন গাজি ও রবিউল লস্করকে বেকসুর খালাস করে কোর্ট। অভিযুক্ত আতিউল লস্কর ও ইয়াসিন জমাদার এখনও পলাতক বলে জানান সিআইডি। শুক্রবার সেই ঘটনার মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা-সহ চারজনকে যাবজ্জীবন দিল আদালত।
(দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ, সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের খবর পেয়ে জান আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy