ধীরে ধীরে সব ডিভিশনে চালু হবে ট্রেন পরিষেবা। ফাইল চিত্র।
বাস-ট্রামের পর এ বার লোকাল ট্রেন পরিষেবাও শুরু হতে পারে। আনলক-১ ঘোষণার পরই খুলে গিয়েছে অফিস, কলকারখানা, বাজার, শপিংমল, রেস্তরাঁ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে রাস্তায় বেরিয়ে বাস পেতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অফিস টাইমে বাস-মিনিবাসের দেখা মিললেও তা যথেষ্ট নয়। ঠাসা ভিড়ে দূরত্ববিধি শিকেয়। যাঁরা জেলা থেকে কলকাতায় কাজে আসছেন, তাঁরা আরও সমস্যায় পড়ছেন। এরই মধ্যে শীঘ্রই হাওড়া ডিভিশনের লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হতে পারে।
তবে তার আগে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্টেশন এবং ট্রেনে চড়ার সময় কিছু নিয়মের বদলও আনা হতে পারে। স্টেশনে ঢোকা-বেরনোর সময় থার্মাল স্ক্যানিং-এর ব্যবস্থা করা হবে। দূরত্ববিধির বিষয়ে নজর দেওয়া হবে। অফিস টাইমে বেশি ভিড় হয়। সে কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে। এই করোনা পরিস্থিতিতে কী ভাবে বিধি নিষেধ মেনে পরিষেবা দেওয়া যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের প্রতিটি স্টেশনে সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ধীরে ধীরে সব ডিভিশনে চালু হবে ট্রেন পরিষেবা। প্রাথমিক পর্যায়ে হাওড়া ডিভিশনের সব স্টেশনে সুরক্ষাবিধি কী ভাবে বলবৎ করা যায়, সে অফিসারদের ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে। তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রেল মন্ত্রক। হাওড়া পর, শিয়ালদহ ডিভিশন-সহ অন্যান্য ডিভিশনেও একই রকম চিন্তাভাবনা চলছে। নতুন করে ১৮ জুন থেকে লকডাউনের বিষয়টি ইতিমধ্যেই উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রে। তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানা যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে। জানা যাচ্ছে, প্রয়োজনে সংক্রমিত এলাকায় কড়া হাতে নিয়ম পালনে জোর দেওয়া হবে। শহর বা রাজ্য অচল করা হবে না।
আরও পড়ুন: বাড়তি ভাড়া ছাড়াই আজ বেশি বাস রাজ্যের
পূর্ব রেলের এক কর্তা বলেন, “রেল সব সময়ই তৈরি। যখনই ট্রেন চালানোর নির্দেশ আসবে, পরিষেবা শুরু হবে। আমারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। তবে এখনই কোনও নির্দেশ আসেনি।” ট্রেন পরিষেবা চালু হলে জেলা থেকে গন্তব্যে পৌঁছতে আর দুর্ভোগের মুখে পড়তে হবে না যাত্রীদের। জেলা থেকে কলকাতাগামী বাসের উপর বাড়তি চাপও কমবে। ইতিমধ্যে সরকারি এবং বেসরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। কলকাতায় চালু হয়েছে অটো-ট্যাক্সি। তবে এখনও মেট্রো পরিষেবা চালু হয়নি। কলকাতা মেট্রো রেল বোর্ডের অধীনে। পরিষেবা চালু না হলেও, মেট্রোর প্রতিটি স্টেশনে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সিগন্যালিং ব্যবস্থা, রেক মেরামতি শেষ। যাত্রী পরিষেবা চালু হলে, টিকিট কাউন্টারে কী ভাবে দূরত্ববিধি মানতে হবে, তা-ও ঠিক হয়ে গিয়েছে। মেট্রোতে যাত্রী নিয়ন্ত্রণও করা হতে পারে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে রেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের উপর।
আরও পড়ুন: বেলুড় মঠ খুলছে, তবে বন্ধ মায়ের বাড়ি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy