লকেট চট্টোপাধ্যায়। সাংসদ।
লোকসভা ভোটে জিতে হুগলির সাংসদ হওয়ার পরে আজ, শুক্রবারই প্রথম সিঙ্গুরে যাচ্ছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। শিল্পের দাবিতে সেখানে সাংসদকে চাষিদের একাংশ স্মারকলিপি দেবেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
বিজেপি জেলা নেতৃত্বের দাবি, সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনে যুক্ত থাকা অনেক পরিচিত মুখ ওই কর্মসূচিতে থাকবেন। লকেট নিজে অবশ্য দাবি করেছেন, পুরোপুরি অরাজনৈতিক এই কর্মসূচি। সিঙ্গুরের চাষিদের কথা শুনতেই তিনি আসছেন। সাংসদ বলেন, ‘‘সিঙ্গুরে যেমন শিল্প চাই, তেমনই চাই টাটাদেরও। কারণ, ওঁরা এখান থেকে ফিরে গিয়েছেন।’’
ভোটের প্রচার-পর্বে লকেট একাধিকবার সিঙ্গুর ছেড়ে টাটাদের চলে যাওয়া রাজ্যের শিল্প মানচিত্রে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছিলেন। ভোটে জিতেই লকেট সিঙ্গুরে নজর দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘চাইব ওখানে শিল্প হোক। টাটা আসুক।’’ ২৩ মে লোকসভার ফল বের হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিঙ্গুরের সেই জমিতে শিল্পের দাবিতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা একটি মিছিলও করেছিলেন। তাতে চাষিদেরও একাংশও শামিল হন।
এ বার সাংসদ হিসেবে সরাসরি সিঙ্গুরের চাষিদের সঙ্গে কথা বলতে আসছেন লকেট। এক সময়ে যেখানে টাটা প্রকল্পের মেশিনারি গেট ছিল, সেখানেই আজ বেলা ১১টা নাগাদ সাংসদকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন। সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাণ্ডে বলেন, ‘‘এখানকার বাসিন্দা হিসেবে বলব, টাটারা ফিরে গিয়ে রাজ্যের খুব ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। সিঙ্গুরের প্রকল্পের জমির বেশিটাই এখনও চাষের অযোগ্য। তাই আমাদের সাংসদ যদি সিঙ্গুরে ফের শিল্পের ব্যাপারে উদ্যোগী হন, তা হলে সকলের ভাল হবে।’’
টাটাদের জন্য অধিগৃহীত জমি চাষিরা ফিরে পেয়েছেন। কিন্তু ওই জমির অনেকটাই এখনও চাষযোগ্য নয় বলে চাষিদের একাংশের দাবি।
জমি-আন্দোলনের অন্যতম মুখ তথা সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য দুধকুমার ধাড়া অবশ্য দাবি করেন, ‘‘যাঁরা বলছেন, টাটা প্রকল্পের জমিতে চাষ হচ্ছে না, তাঁরা ঠিক বলছেন না। সিঙ্গুরের ওই জমিতে চাষ হচ্ছে। তবে জমির কোনও কোনও অংশে চাষের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা এখনও আছে। কৃষি দফতর এবং প্রশাসন সেই সমস্যা পর্যায়ক্রমে মেটাচ্ছেন।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy